পাতা:বরেন্দ্র রন্ধন.djvu/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১৮
বরেন্দ্র রন্ধন

যাহাতে তাহা মাছ তরকারীতে দিলে গলিয়া না যায়। বরেন্দ্রে ছোট ছোট সবুজ বর্ণ ও বহু কণ্টকবিশিষ্ট এক প্রকার বেগুন পাওয়া যায় যাহাকে ‘গৃহস্থী’ বা ‘কড়ুই’ বেগুন কহে। ইহা এক বৃন্তে বহু ফলে। ইহা মাছ তরকারীতে দেওয়ার জন্যই উৎপন্ন হইয়া থাকে। এই ছোট গৃহস্থী কড়ুই বেগুনই মাছ-তরকারীতে দিবে।

১৩৯। বোয়াল মাছের ভাঙ্গা

 বোয়াল মাছের ভাঙ্গা রুই মাছের মতই শলুপ শাক যোগে রাঁধিবে, কেবল তাহাতে অতিরিক্ত কালজিরা ফোড়ন দিবে।

 আইড়, শিলঙ প্রভৃতি তৈলাক্ত মাছের ভাঙ্গা এই প্রকারে রাঁধিবে।

 শলুপ শাকের পরিবর্ত্তে হালি পার্শলী, সেলেরী প্রভৃতি শাকের কুচিও মিশাইতে পার।

১৪০। ইলিশ মাছের ভাঙ্গা

 পটোল ও কাঁটালবীচি অথবা যজ্ঞডুমুর দিয়া ইলিশ মাছের অতি সুন্দর ‘ভাঙ্গা’ হইয়া থাকে। টাট্‌কা অপেক্ষা কিঞ্চিৎ নরম ইলিশ মাছেরই ভাঙ্গা অধিকতর সুস্বাদু হয়। ইলিশ মাছের ভাঙ্গায় আলু, বেগুন প্রভৃতি আনাজ সাধারণত ব্যবহৃত হয় না, তবে বিলাতী কুমড়া ব্যবহৃত হইতে পারে। আনাজের অনুপাতে মাছ যেন কম না পড়ে, তাহা হইলে ভাঙ্গার আস্বাদন ভাল হইবে না।

 পটোল ও কাঁটালবীচি ছোট ছোট ডুমা ডুমা করিয়া কুট। তৈলে কষাইয়া রাখ। ইলিশ মাছ সাধারণভাবে কুটিয়া লইয়া নুণ হলুদ মাখ। তৈলে তেজপাত, লঙ্কা, মেথি ফোড়ন দিয়া মাছ ছাড়। আংসাও। পুনঃ কিঞ্চিৎ নুণ হলুদ ও একটু লঙ্কা বাটা দিয়া জল দাও। ফুটিলে কষান আনাজ ছাড়। সিদ্ধ হইলে হাত দিয়া মাছ ভাঙ্গিয়া সমস্ত মিশাইয়া দাও। জল শুকাইলে নামাও। পিঠালী দিবে না।