পাতা:বরেন্দ্র রন্ধন.djvu/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সপ্তদশ অধ্যায়—ঝোল।
১১৯

 যজ্ঞডুমুরের সহিত ভাঙ্গা রাঁধিতে হইলে তাহা পূর্ব্বে ভাপ দিয়া লইবে। ইলিশ মাছের ভাঙ্গায় দুটো কালজিরা ফোড়ন দেওয়া যায়।

১৪১। চিঙড়ী মাছের মালাই ঝোল

 মাঝারী গোছ মোচা-চিংড়ী অথবা বাগদা-চিঙড়ী লইয়া গোটা রাখিয়া কুটিয়া নুণ হলুদ মাখ। লাউ ডুমা ডুমা করিয়া কুটিয়া তেলে কষাইয়া রাখ। তৈলে বা ঘৃতে তেজপাত, লঙ্কা, মেথি ফোড়ন দিয়া, মাছ ছাড়। আংসাও। নারিকেল দুগ্ধ ঢালিয়া দাও (শুধু জল দিবে না)। প্রয়োজন বোধ করিলে আরও কিছু নুণ, হলুদ দিবে। ফুটিলে কষান লাউ ছাড়। সিদ্ধ হইলে একটু মিষ্ট দিতে পার। অল্প ঝোল অবশিষ্ট থাকিতে নামাও।

 কাঁকড়া, ইলিশ, আইড়, সিলঙ, কই প্রতি মাছের এইরূপ মালাই ঝোল রাঁধিবে।

 ইচ্ছা করিলে ইহার সহিত আলু, ঝিঙ্গা, শশা, কুমড়া অথবা ফুলকোবি, সালগম, স্কোয়াস, কলাইশুটী প্রভৃতি আনাজ মিশাইয়া রাঁধিতে পার।

১৪২। বাটী-চড়চড়ী

 ইহা নামে চড়চড়ী হইলেও ইহাকে বরেন্দ্রের চড়চড়ীর বা এই গ্রন্থে লিখিত অপর কোনও ব্যঞ্জনের সহিত এক পর্য্যায় ভুক্ত করা যায় না। তবে সিদ্ধ বা ভাজির সহিত ইহার বিশেষ সাদৃশ্য আছে। অতএব মেথি পর্ব্বের অগ্রেই ইহাকে স্থান দেওয়া কর্ত্তব্য ছিল, কিন্তু আমার ভ্রমক্রমে তাহা না হওয়ায় এক্ষণে ইহাকে মেথি পর্ব্বের শেষে স্থান দিতে হইতেছে। ইহা সচরাচর বাটীতে করিয়া অল্প পরিমাণে রাঁধা হয় বলিয়া এবং দেখিতে চড়চড়ীর মত বলিয়া ইহাকে ‘বাটী-চড়চড়ী’ বলা হয়। রাণাঘাটের সুবিখ্যাত পাল-চৌধুরী বংশভুষণ শ্রীযুক্ত অমরেন্দ্রনাথ পাল-চৌধুরী মহাশয়ের স্ত্রীর নিকট আমার স্ত্রী ইহা শিখিয়াছিলেন।