বালুতে ভাজা মুগ ও মাষ ডাইলও অনুষঙ্গরূপে ব্যবহার করিতে পার।
বকফুল ও কাঞ্চন ফুলের কলির ঘণ্ট এই প্রকারে রাঁধিবে।
১৭১। মোচার ঘণ্ট
মোচার খোলা ছাড়াইয়া অভ্যন্তরের ফুল-কলার ফুলটুকু কাটিয়া ফেলিয়া কলা কুচি কুচি করিয়া কুটিয়া লও। একটু ভাপ দিয়া জল গালিয়া ফেল। পরে নুণ, হলুদ সহ ছানিয়া লও। তৈলে জিরা, তেজপাত ও লঙ্কা ফোড়ন দিয়া ছানা মোচা ছাড়। আংসাও। (প্রকাশ থাকে যে, মোচা অতিরিক্ত আংসাইলে চিমড়াপানা হইয়া যায়)। জল দাও। ফুটিলে বালুতে ভাজা মুগ বা মাষকলাইর ডাইল মিশাও। সিদ্ধ হইলে একটু চিনি দাও। বাটা ঝাল মিশাও। পরে পিঠালী দিয়া নাড়িয়া চাড়িয়া আঁটিয়া নসনসে করিয়া নামাও। একটু ঘৃত ও গরম মশল্লা বাটা মিশাও। মোচার ব্যঞ্জনে একটু গরম মশল্লা দিলে তবে তাহার আস্বাদন উত্তম হয়।
ইহাতে মাষকলাইর বড়ীও অনুষঙ্গরূপে ব্যবহার করিতে পার। মোচার ঘণ্টে পশ্চাৎ নারিকেল কুড়া দিলে চমৎকার হয়।
গাবরে কচি পাতা ভাপ দিয়া লইয়া তদ্বারা ভাজা মুগ, মাষকলাইর ভাল বা মাষকলাইর বড়ী যোগে এইরূপে সুন্দর বেস্বরী রাধা যাইতে পারে।
১৭২। পটোল অথবা ঝিঙ্গার বেস্বরী
কচি পটোল অথবা কচি ঝিঙ্গার বীচি ফেলিয়া মিহি করিয়া কুটিয়া লও। মাষকলাইর বড়ী, মুগ বা মাষ ডাইল যোগে শিমের ঘণ্টের ন্যায় ঘণ্ট রাঁধ।
১৭৩। মিঠা (বিলাতী) কুমড়ার বেস্বরী
পাকা বিলাতী কুমড়া ডুমা ডুমা করিয়া কুটিয়া লও। বুট ভিজাইয়া রাখ। তৈলে জিরা, তেজপাত, দুটো কালজিরা ও লঙ্কা ফোড়ন দিয়া