পাতা:বরেন্দ্র রন্ধন.djvu/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫০
বরেন্দ্র রন্ধন।

এ ছাড়া শিম, বেগুণ, মূলা, শিম-বেগুণ, মূলা-বেগুণ, পটোল, ঝিঙ্গা, পালঙ শাক, মটর শাক প্রভৃতি আনাজের ঘণ্ট এই প্রকারে রাঁধিতে পার।

১৭৮। চিড়া-মুড়া ঘণ্ট

 রুই মাছের মুড়া-কাঁটা নুণ হলুদ মাখিয়া কষাইয়া রাখ। চিড়া ভিজাইয়া রাখ। নরম হইলে জল গালিয়া ফেল। তৈলে জিরা, তেজপাতা ও লঙ্কা ফোড়ন দিয়া চিড়া ছাড়। আংসাও। নুণ, হলুদ, লঙ্কা বাটা ও ধনিয়া বাটা দিয়া নাড়িয়া চাড়িয়া জল দাও। ফুটিলে কষান মাছ ছাড়। সিদ্ধ হইলে মাছ ভাঙ্গিয়া দিয়া সমস্ত নাড়িয়া মিশাইয়া দেও। এক্ষণে জিরা-মরিচ বাটা ও তেজপাত বাটা মিশাও। অবশেষে কিছু পিঠালী দিয়া (চিড়ার ঘণ্টে অধিক পিঠালী আবশ্যক হইবে না) আঁটিয়া লইয়া শুকনা শুকনা করিয়া নামাও।

 ভাতের এবং খৈয়ের সহিতও এই প্রকাবে মাছের ঘণ্ট রান্ধা চলে।

৭৯। রুই মাছের মুড়া-কাঁটা দিয়া মিঠা কুমড়ার ঘণ্ট

 বিলাতী কুমড়া ডুমা ডুমা বা সরু সরু করিয়া কুটিয়া লও। রুই মাছের মুড়া-কাঁটা-গাদা নুণ হলুদ মাখিয়া কষাইয়া রাখ। তৈলে জিরা, কালজিরা, তেজপাত, লঙ্কা ফোড়ন দিয়া কুমড়া ছাড়। উত্তমরূপে আংসাও। নুণ, হলুদ ও সর্ব্বপ্রকার বাটা ঝাল মিশাও। নাড়িয়া জল দাও। ফুটিলে কষান মাছ মিশাও। সুসিদ্ধ হইলে মাছ ভাঙ্গিয়া ঘাঁটিয়া মিশাইয়া দাও। পরে পিঠালী দিয়া আঁটিয়া লইয়া নসনসে করিয়া নামাও।

 বিলাতী কুমড়ার সহিত ইলিশ মাছ, কাঁকড়া, ছোট ছোট চিংড়ী মাছ অথবা বড় বড় চিংড়ী মাছের মুড়া দিয়া সুন্দর ঘণ্ট রাঁধা চলে।

১৮০। পালঙ শাকের ঘণ্ট

 রুই মাছের মুড়া-কাঁটা-গাদা দিয়া পালঙ ও বথুয়া, মটর প্রভৃতি শাকের ঘণ্ট যেমন ভাল হয়, শৈল মাছের মুড়া-কাঁটা দিয়াও তেমনই তাহা সুন্দর