পাতা:বরেন্দ্র রন্ধন.djvu/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দশম অধ্যায়—ঝাল।
১৬৩

জল-বড়া, আলু ও বুট বা কড়াইশুঁটী ছাড়। নুণ দাও। সিদ্ধ হইলে জিরা-মরিচ বাটা ও একটু চিনি দাও। ঝাল-রস গাঢ় হইয়া আসিলে নামাও। একটু গাওয়া ঘি মিশাও।

 মটর, খেসারী ও বুটের ডাইলের জলবড়া (পাণিদলা বা ধোকা) এবং ছানা প্রভৃতির ঝাল এই প্রকারে রাঁধিবে। তবে অবশ্য ছানা আর পূর্ব্বে জলে সিদ্ধ করিয়া লইবার প্রয়োজন করে না।

১৯৫। পেঁপের ঝাল

 কাঁচা পেঁপে লইয়া খোসা ছড়াইয়া বীচি ফেলিয়া দিয়া ভুনা ভুনা করিয়া কুট। বুট ভিজাইয়া রাখ। পেঁপে একটু জলে ভাপ দিয়া লও। জিরা, তেজপাত ফোড়ন দিয়া পেঁপে ছাড়। আংসাও। ঈষৎ লালচে মত হইলে নুণ (হলুদ) দিয়া চেলেনী জল দাও। ফুটিলে ভিজান বুট ছাড়। সিদ্ধ হইলে একটু চিনি দাও। রস ঘন হইয়া আসিলে জিরা-গোলমরিচ বাটা, তেজপাত বাটা মিশাইয়া নামাও। একটু গাওয়া ঘি মিশাও।

 অনেকে নামাইয়া আবার তিল বা পোস্ত বাটা মিশাইয়া থাকেন। ইহা প্রায় রোগীর পথ্য রূপে ব্যবহৃত হয় বলিয়া ইহাতে লঙ্কা সংস্পর্ষ করা হয় না।

১৯৬। মুগ ডাইলের ঝাল

 কাঁচা বা বালুতে ভাজা মুগ ডাইল লও। আলু ডুমা ডুমা করিয়া কষাইয়া রাখ। ঘৃতে জিরা, তেজপাত ও লঙ্কা ফোড়ন দিয়া ডাইল ছাড়। আংসাও। নুণ, (হলুদ) দিয়া চেলেনী জল দাও। ফুটিলে আলু ছাড়। সিদ্ধ হইলে জিরামরিচ বাটা ও একটু মিষ্ট দাও। ঝাল-রস বেশ থকথকে হইলে নামাও। একটু গাওয়া ঘি মিশাও।

১৯৭। ফুলকোবির ঝাল-চড়চড়ী

 ফুল-কোবি নাতিবৃহৎ ডালে বিভক্ত করিয়া কুটিয়া ধুইয়া লও; ডাঁটা .