পাতা:বরেন্দ্র রন্ধন.djvu/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮৬
বরেন্দ্র রন্ধন।

বিলের পক্ষী; এবং রাজহাঁস, বালিহাঁস, বতক, চৈতী, নারিয়াল, সরাইল প্রভৃতি নানাবিধ বড় ও ছোট হাঁসজাতীয় জলচর পক্ষী অনেকেই শিকার করিয়া আহার করিয়া থাকেন। ইহাদের কালিয়া পাঁঠার কালিয়ার ন্যায় রাঁধা যায়; তবে পক্ষী মাংসে (হিঙের পরিবর্তে) পেঁয়াজ, রশুন সংযোগ করিলে তবে আস্বাদন উত্তম হয়, এবং বাটনা প্রভৃতি পাঁঠার মাংসের অপেক্ষা কিঞ্চিৎ কম দেওয়া হইয়া থাকে। দধি (অম্নরস) রুচি অনুসারে ব্যবহার করিবে।

 মাছের কালিয়াতে আলু, বেগুন, মূলা, লাউ, কুমড়া, শশা, স্কোয়াস, ফুলকোবি- বাঁধাকোবি, ওলকোবি, সালগম, গাজর, কলাইশুটী, বীন প্রভৃতি যে সমস্ত দেশজ এবং হালি আনাজ ব্যবহারের বিষয় লিখিত হইয়াছে মাংসের কালিয়াতেও ঐ সমস্ত আনাজ বেশ মজে। তবে মাংস ভেদে আনাজও অবশ্য ভেদ করিতে হইবে।—আলু এবং ফুলকোবি প্রায় সব মাংসেই দেওয়া যায়। কলাইশুটী মেষ ও পক্ষী মাংসেই ভাল মজে। লাউ খাসীতে এবং ডাহুক পাখীতে ভাল মজে,—“এক ডাহুক সাত লাউ মজায়।” ফুলকোবি, বাঁধাকোবি ও সালগম প্রভৃতি পাঁঠাতে এবং মেষে বেশ মজে।

কারী—বৈদেশিক)।

 বৈদেশিক ‘কারী’ কালিয়ারই সংক্ষিপ্ত সংস্করণ। কারীতে কেবল কালিয়ার ন্যায় জিরা, লঙ্কা ফোড়ন দেওয়া হয় না—শুধু তেজপাত, গোটা গরম মশলা এবং পেঁয়াজকুচা ফোড়ন দেওয়া হইয়া থাকে। কারীর বাটনায় জিরা-মরিচ বাটা অপেক্ষা হলুদ, লঙ্কা ও ধনিয়া বাটারই প্রাধান্য দেওয়া হয় এবং পশ্চাৎ সরিষা বাটাও কোন কোন ক্ষেত্রে মিশান হইয়া থাকে। নচেৎ কারীর সহিত কালিয়ার আর কোনই বিশেষ পার্থক্য নাই। কালিয়া এবং তৎপর্য্যায়ভুক্ত কারীতে ঝাল নুণ একটু খরভাবে (অধিক পরিমাণে) দিবে। “ঝাল-ঝাল,