করিয়া গোলা করিয়া লও। কুমড়া পুর্ব্বে তেলে কষাইয়া তোল। পরে ঐ তেলে সরিষা ফোড়ন দিয়া তেঁতুল গোলা ছাড়। ফুটিলে কষান বিলাতী ছাড়। নুণ, (হলুদ) এবং গুড় বা চিনি মিশাও। আবশ্যক মত তরল বা ঘন করিয়া নামাও। বিলাতী গুলি যেন গলিয়া না যায়। ইহার সহিত মটরাদি ডাইলের ফুল বড়ী, বড়া বা পানিদলা অনুষঙ্গ রূপে ব্যবহার করিতে পার।
গোল আলু, লাল আলু প্রভৃতির এইরূপে অম্বল রাঁধিবে।
(খ) বিলাতী কুমড়ার খোসা ছাড়াইয়া ডুমা ডুমা করিয়া কুট। পাকা তেঁতুল জলে গুলিয়া রাখ। তেলে সরিষা ফোড়ন দিয়া কুমড়া ছাড়। আংসাও। কুমড়া গুলি নাড়িয়া গলাইয়া ফেল। তেঁতুল গোলা ছাড়। নুণ ও গুড় বা চিনি মিশাও। নাড়িয়া চাড়িয়া থকথকে করিয়া নামাও।
ইহার সহিতও মটরাদি ডালের ফুলবড়ী, বড়া অথবা পানিদলা অনুষঙ্গ রূপে ব্যবহার করিতে পার।
বেগুনের অম্বল এই প্রকারে রাঁধিবে।
১৪৮। আলু-ই-বোখারার অম্বল
আলু-ই-বোখারা ধুইয়া পরিষ্কার করিয়া জলে ভিজাইয়া রাখ। কিসমিস ধুইয়া পরিষ্কার করিয়া রাখ। তেলে সরিষা ফোড়ন দিয়া আলু-ই-রোখারা মায় জলটুকু ছাড়। নুণ ও গুড় বা চিনি মিশাও। ফুটিলে কিসমিস ছাড়। আরক মত ঘন করিয়া নামাও।
ইচ্ছা করিলে অপরাপর ঘন ‘মিঠে’ অম্বলেও কিসমিস মিশাইতে পার। আবার তেঁতুল গোলা যোগে ফুলবড়ী, বড়া বা পানিদলা অনুষঙ্গ দিয়া শুধু কিসমিসেরও রাঁধিতে পার।