১৪৯। পাকা কলার অম্বল
পাকা কলা ছুলিয়া চাকা করিয়া কুটিয়া লও। পাকা তেঁতুল জলে ভিজাইয়া রাখিয়া আবশ্যক মত ঘন গোলা করিয়া লও। তেলে সরিষা ফোড়ন দিয়া তেঁতুল গোলা ছাড়। নুণ,(হলুদ) ও গুড় বা চিনি মিশাও। ফুটিলে পাকা কলা এবং কষান মটর ডালের চাপড়ী ছাড়। সিদ্ধ হইলে তিল বাটা দিয়া নাড়িয়া চাড়িয়া নামাও।
কষান ফুলবড়ী, বড়া, পানিদলা প্রভৃতি ইহার সহিত অনুষঙ্গ রূপে ব্যবহার করিতে পার। অথবা বিনা অনুষঙ্গেও অম্বল রাঁধিতে পার।
চালিতার টক এই প্রকারে রাঁধিবে।
১৫০। আম-আদা দিয়া পেঁপের টক
কাঁচা পেঁপের খোসা ও বীচি ফেলিয়া দিয়া সরু সরু করিয়া কুটিয়া লও। জলে একটু ভাপ দিয়া জল চিপিয়া ফেল। তেঁতুল অপেক্ষাকৃত পাৎলা করিয়া গুলিয়া রাখ। তেলে সরিষা ফোড়ন দিয়া পেঁপে ছাড়। আংসাও। তেঁতুল গোলআ ঢলিয়া দাও। নুণ ও চিনি দাও। জল শুকাইয়া আসিলে নামাইয়া কিছু আম-আদা বাটা মিশাও।
১৫১। দহির অম্বল
দহি জলে গুলিয়া আবশ্যক মত তরল করিয়া রাখ। বেগুন ছোট করিয়া কুটিয়া তেলে বা ঘৃতে ভাজিয়া রাখ। তেলে সরিষা ফোড়ন দিয়া দহি-গোলা ছাড়। নুণ ও চিনি দাও। ফুটিলে ভাজা বেগুন ছাড়িয়া নামাইয়া লও।
দ্রষ্টব্য—দহি অধিক ফুটাইলে ‘ফাটিয়া’ গিয়া উহার ছানা কাটিবে, সুতরাং তদ্বিষয়ে সাবধান থাকিবে।
১৫২। ‘তক্র’—বৈদ্যনাথ-দেওঘর)
আধ সেরটাক দহি লইয়া তাহাতে জল মিশাইয়া আবশ্যক মত তরল