করিয়া লও। আখ পোয়াটাক বুটের বেসম মিশাও। পাৎলা নেকড়ায় ছাঁকিয়া লও। একটু হিঙ, নুণ ও হলুদ বাটা মিশাও। জ্বাল দাও। দহি না ফাটে সে দিকে লক্ষ্য রাখিবে। থকথকে গোছ হইলে নামাইয়া (সের প্রতি একপোয়া হিসাবে) মোয়া ক্ষীর এবং বুটের বেসমের বোঁদে বা মতিচুরের লাড়ু (ভাঙ্গিয়া) মিশাও। আবশ্যক মত চিনি দাও। এক্ষণে ঘৃতে জিরা, তেজপাত, (হিঙ) ও লঙ্কা ফোড়ন দিয়া ‘তক্র’ সম্বারা দিয়া লও।
১৫৩। দহি-লাউ—(বারাণসী)
লাউ চাকা চাকা বা ডুমা ডুমা করিয়া কুটিয়া লও। তেলে জিরা, লঙ্কা, হিঙ ও রাইসরিষা ফোড়ন দিয়া লাউ ছাড়। নুণ, হলুদ দিয়া নাড়িয়া চাড়িয়া ঢাকিয়া দাও। মোলায়েম হইলে দহি ও গরম মশল্লা মিশাইয়া নাড়িয়া চাড়িয়া নামাও।
দহির পরিবর্ত্তে ছোলার ডালের বেসম গোলা, ‘গরম মশল্লা’ ও ‘আমচুর’ মিশাইয়া নাড়িয়া চাড়িয়া নামাইলে ‘লাউ-বেসম’ হইবে।
১৫৪। রস-মুণ্ডি বা রস-গোল্লার অম্বল
পাকা তেঁতুল জলে অপেক্ষাকৃত তরল করিয়া গুলিয়া লও। সরিষা ফোড়ন দিয়া তেঁতুল গোলা ছাড়। ঈষৎ নুণ ও চিনি দাও। ফুটিলে রস-মুণ্ডি বা রস-গোল্লা ছাড়। কিছুক্ষণ ফুটাইয়া নামাও। একটু গোলাপজল মিশাও।
অম্বল—(আমিষ)
১৫৫। আম-শোল
শোল মাছ ছুলিয়া ছোট ডুমা ডুমা করিয়া কুট। হলুদ মাখিয়া কষাইয়া রাখ। কচি কাঁচা আম ছুলিয়া দুই ফাঁক করিয়া কুটিয়া ভিতর