নুণ, চিনি, কাঁচালঙ্কা বাটা বা কুচি, ধনিয়া পাতা বাটা বা কুচি মিশাও। বেশ করিয়া ঘোলাইয়া মিশাইয়া লইবে। অমনি বা নেক্ড়ায় ছাঁকিয়া লইয়া খাও। অবশ্য ধনিয়া পাতার পরিবর্ত্তে পুদিনা বা পার্শ্লী পাতা ব্যবহার করিতে পার। লাফা বেগুণ ডুমা ডুমা করিয়া কুটিয়া ঘৃতে বা তেলে ভাজিয়া লইয়া এই চাট্নির মধ্যে ছাড়িয়া খাইতে পার।
১৮৪। লাউর রায়তা
লাউ মিহি করিয়া কুটিয়া একটু ভাপ দিয়া জল গালিয়া ফেলিয়া লও। নুণ, একটু চিনি, কাঁচালঙ্কা বাটা, রাইসরিষা বাটা এবং দহি দিয়া একত্রে মাখ। একটু তেল মিশাইয়া লও।
ফুলকোবি, সালগম, গাজর, মূলা প্রভৃতিরও এই প্রকারে ‘রাওতা’ করিবে।
১৮৫। সাদাসিধা দহি-মাছ
একটি অপেক্ষাকৃত বড় (কাল) পাথরের ‘খাদায়’ বা মৃৎপাত্রে দহি লইয়া অল্প জল মিশাইয়া অপেক্ষাকৃত তরল কর। নুণ, কাঁচা লঙ্কা বাটা, (হলুদ বা জাফরাণ) রাই সরিষা বাটা ও তেল ইহার সহিত উত্তমরূপে মিশাও।
এক্ষণে ইলিশ মাছ খণ্ড খণ্ড করিয়া কুটিয়া জলে সিদ্ধ করিয়া বা তেলে ভাজিয়া তুলিয়াই উত্তপ্ত অবস্থাতে ঐ দহিতে ডুবাও। দুই তিন ঘণ্টা মত ঢাকিয়া রাখিয়া পরে খাও। আগুনে একটু ফুটাইয়া লইতে পারিল উত্তম হয়, কিন্তু সাবধান যেন দহি ফাটিয়া না যায়।
আইড়, সিলঙ্গাদি, কই ও চিঙড়ী প্রভৃতি মাছর এই প্রকারে সাদাসিধা ‘দহি-মাছ’ প্রস্তুত করিতে পায়। উল্লিখিত মাছের সালাদের সহিত তুলনীয়।
১৮৬। সাদাসিধা দহি-বড়া
একটি অপেক্ষাকৃত বড় (ফল) পাথরের ‘খাদাতে’ বা মৃৎপাত্রে দহি