পাতা:বরেন্দ্র রন্ধন.djvu/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বিতীয় অধ্যায়—সিদ্ধ।
১৩

সিদ্ধ করিলে কেমন এক রকম দুর্গন্ধবিশিষ্ট হয়, সুতরাং ইহা তৈল, নুণ, কাঁচা লঙ্কা ও পেঁয়াজ কুচি দিয়া মাখিয়া খাইতে হয়।

 বালুতে ভাজা মাষকলাইর ডাইলও মুগের ডাইলের ন্যায় সিদ্ধ করিবে। কিন্তু ঘির পরিবর্ত্তে তৈল দিয়া মাখিবে।

১৭ (ক) মটর ডাইল সিদ্ধ

 দেশী বা ছোট মটরের ডাইল নেকড়াতে ঢিলা করিয়া বাধিয়া ভাতে ফেলিয়া সিদ্ধ করিবে। ঘৃত, নুণ, কাচা লঙ্কা ও পেয়াজ কুচি যোগে নুতন আমন ধানের চাউলের মাড়ে মাড়ে ভাতের সহিত মাখিয়া এই ডাইল সিদ্ধ খাইতে ভাল।

 খেসারীর ডাইলও এইভাবে সিদ্ধ করিয়া মাখিয়া খাইবে। কিন্তু, ঘৃতের পরিবর্ত্তে তৈল দিয়া মাখিলেই তাহার স্বাদ ভাল হইবে।

১৭ (খ) বাটা মটর ডাইল সিদ্ধ

 দেশী মটর ডাইল ভিজাইয়া রাখিয়া বাটিয়া লও। হাতে করিয়া অপেক্ষাকৃত বড় বড় দলা পাকাইয়া ভাতে ফেলিয়া সিদ্ধ কর। ঘৃত, নুণ, কাঁচা লঙ্কা মাখিয়া সরু আতপান্নের সহিত মাখিয়া একটু দধি সংযোগে খাইতে ইহা ভাল।

১৮। আলু সিদ্ধ

 খোসা সমেত গোল আলু জলে অথবা ভাতে ফেলিয়া সিদ্ধ করিবে। খোলা ছাড়াইয়া ঘৃত (অথবা তৈল, নুণ ও রুচি অনুসারে কাঁচা লঙ্কা মাখিয়া খাইবে। নুতন আলু সিদ্ধ খাইতে অধিকতর সুস্বাদু।

 একখণ্ড নেকড়ায় আলু বাঁধিয়া জলে শিকি পূর্ণ হাঁড়ির উপর ঝুলাও। যেন আলু জলে না ঠেকে। এক্ষণে হাঁড়ির মুখ ঢাকিয়া দিয়া আগুণে বসাও।