পাতা:বরেন্দ্র রন্ধন.djvu/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বিতীয় অধ্যায় – সিদ্ধ ।
১৫

২২। ঝিঙ্গা সিদ্ধ

 কচি ঝিঙ্গা জলে অথবা ভাতে ফেলিয়া সিদ্ধ করিবে। পরে জল চিপিয়া ফেলিয়া ঘৃত কিম্বা তৈল, নুণ ও কাঁচা লঙ্কা দিয়া মাখিবে। ঘিয়ে মাখিলে লঙ্কা ইচ্ছা করিলে বাদ দিতে পার। পটোল, করিলা, শিম, বরবটী, মূলা, মটর শুটি, বকফুল প্রভৃতি সবজী এইরূপে সিদ্ধ করিবে। করিলা সিদ্ধ আলু সিদ্ধ সহ একত্রে মাখিয়া খাইতে মন্দ লাগে না।

২৩। লাউ-শাক সিদ্ধ

 নূতন আমনের ভাতের মাড়ে লাউ শাক ও ডগা সিদ্ধ করিয়া তৈল, নুণ ও কাঁচা লঙ্কা মাখিয়া খাইবে। ইহার সহিত বথুয়ার শাক ও শলুপের শাক মিশাইয়া সিদ্ধ করিলে স্বাদ উত্তম হয়। বথুয়া ও শলুপের পরিবর্ত্তে হেলেঞ্চার শাক মিশাইয়া সিদ্ধ করিয়াও লাউ শাক সিদ্ধ খাওয়া হয়।

 হেলেঞ্চা 'ও বথুয়ার শাক আলাহিদা ভাবে সিদ্ধ করিয়াও খায়।

সিদ্ধ।—(আমিষ)

২৪। ইলিশ মাছ সিদ্ধ

 ইলিশ মাছ কুটিয়া জলে বা ভাপে সিদ্ধ করিয়া তৈল, নুণ, কাঁচা লঙ্কা ও সরিষা বাটা দিয়া মাখিয়া খাইবে, কিন্তু কুমড়া পাতার সহিত সিদ্ধ করিলেই তাহার স্বাদ সমধিক বর্দ্ধিত হইয়া থাকে। পাতা একটু বুড়া দেখিয়া লইতে হয় এবং একটু অধিক তৈল দিয়া পাতার সহিত একত্রে মাছ মাখিয়া খাইতে হয়।