পাতা:বরেন্দ্র রন্ধন.djvu/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৮
বরেন্দ্র রন্ধন।

কিঞ্চিৎ অম্লরস, চিনি ও পরিশেষে ঘৃত মাখিয়া প্রদীপ্ত গমগমে অঙ্গারের উপরে বা এক পার্শ্বে অতি নিকটে ধরিয়া অথবা শিকটি দুইটি আশ্রয় দণ্ডের উপর স্থাপন করিয়া ঘুরাইয়া ঘুরাইয়া ঝলসাও। মধ্যে মধ্যে পাখীটি ঘৃতসিক্ত করিবে, যেন ছেঁচড়া পোড়া হইয়া না যায়। প্রথমে আগুণের খুব সন্নিকটে ধরিয়া ঝলসাইবে। উপরে একটু লাল‍্চে হইলেই অপেক্ষাকৃত তফাতে ধরিয়া ঝলসাইবে। তাহা হইলে উপরিভাগ ঈষৎ কঠিন হইয়া অভ্যন্তরের রস নির্গম পথ রুদ্ধ করিবে এবং পরে তফাতে রাখিলে ধীরে ধীরে অভ্যন্তর ভাগ সুপ হইবে অথচ উপরে আর অতিরিক্ত পুড়িয়া যাইবে না। উপরন্তু পী আগুণের উপর হইতে সরাইয়া এক পার্শ্বে ধরাতে তাপে পক্ষীর গাত্র হইতে যে ঘি টপ টপ করিয়া গড়াইয়া পড়িবে তাহা আগুণের উপর পড়িয়া নষ্ট না হইয়া নিচে একখানা পাত্র রাখিয়া ধরা যাইবে। ঝলসান ঠিক হইয়াছে কিনা জানিবার জন্য একটি তীক্ষ্ণ লৌহ-শলাকা মধ্যে মধ্যে পাখীর গায়ে ফুঁড়িয়া দিয়া দেখিবে মাংস বেশ মোলায়েম হইয়াছে কি না। সরস রহিয়া সুপক্ব হইয়াছে বুঝিলে নামাইবে। শূল্যের রঙ্গ সুন্দর লালাভ করিবার প্রয়োজন হইলে এক খণ্ড উত্তপ্ত লৌহ এই সময়ে পক্ষীর গায়ের উপর দিয়া অথচ গাত্র স্পর্শ না করিয়া বুলাইয়া লইবে।

 হাঁসের ন্যায় অপরাপর পক্ষী, খরগোশাদি, হরিণ, পাঁঠা বা ভেড়ার রাঙ্গ ৰা শির-দাঁড়ার কোমল মাংসে শূল্য হইতে পারে।

 ‘ওয়ারেনের কুকিং পট’, ‘ইকমিক কুকার’ বা ‘জগে’ পক্ষী, খরগোশাদি গোটা বা খণ্ড খণ্ড করিয়া পুরিয়া নুণ, মরিচ গুঁড়া, আদা পেঁয়াজাদি বাটা সহ জলের ভাপের উত্তাপে ‘বেক’ বা পুট-পাক করিয়াও সুন্দর কাবাব রাঁধা যায়। গ্রিলদানীর ন্যায় এক প্রকার বেকিংপ্যানে বা পাত্রে করিয়া গোটা পরিষ্কৃত পক্ষী খরগোশাদি উত্তপ্ত তুন্দর বা তেজালের মধ্যে রাখিয়া ‘বেক’ বা পুটপাক করিলেও অতি সুন্দর কাবাব প্রস্তুত হইবে। তৎক্ষেত্রে পক্ষীর