পাতা:বর্ত্তমান জগৎ চতুর্থ ভাগ.pdf/৩৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rbr बéभांना खत्र९ এই দুই বিদ্যার সন্ধি স্থাপিত হয় নাই। ইতিহাস-বিদ্যা তথাকথিত সভ্য জাতিগুলির আলোচনা করিতেছে। নৃতত্ত্ব প্ৰাচীন, আদিম এবং নূতন নূতন জাতির বিবরণ দিতেছে। নৃতত্ত্বের তথ্যগুলি ক্রমশঃ ইতিহাসবিদ্যার মশলা বা উপকরণে পরিণত হইতেছে। কিন্তু কালে বোধ হয় ৫০ বৎসর পরে নৃতত্ত্ব ও ইতিহাসে কোন প্ৰভেদ থাকিবে না । di বৰ্ত্তমানে আরও কিছুকাল পৰ্য্যন্ত নৃতত্ত্ববিদগণের স্বতন্ত্র দায়িত্ব রহিয়াছে। প্ৰাচীন মানব, আদিম মানব অথবা অসভ্য মানব জগতে আর থাকিবে না । আধুনিক সভ্যতা বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে এই সকল জাতির বিশেষত্ব শীঘ্রই লুপ্ত হইয়া যাইবে । বিভিন্ন সভ্য ও অৰ্দ্ধসভ্য নরনারীর সঙ্গে এই সমুদয় আদিম মানবের রক্ত সংমিশ্রণও ঘটিতে থাকিবে । কাজেই এক্ষণে নৃতত্ত্ববিদেরা অন্যান্য সকল বিভাগ ছাড়িয়া দুনিয়ার বনজঙ্গলে আলিগলিতে এবং কোণে ঘোচে প্ৰবেশ করিতেছেন। এই ধরণের তথ্য ভবিষ্যতে আর পাওয়া যাইবে না।” কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত্ব বিভাগ প্ৰাচীন মেক্সিকোর য়্যাজটেক সভ্যতার পুরাতত্ত্ব অনুসন্ধান করিতেছেন । ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ববিভাগ পেরুর প্রাচীন সভ্যতা সম্বন্ধে গবেষণা করিবার জন্য একজন ধন্যবানের অর্থসাহায্য পাইয়াছেন। এই ব্যক্তি বৎসরে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা খরচ করিতেছেন। হার্ভার্ডের কৰ্ত্তারা মধ্য-আমেরিকা অর্থাৎ ইউকুটান, হণ্ডুরাস ইত্যাদি জনপদের ঐতিহাসিক তথ্য সংগ্ৰহ করিতেছেন । । আমি জিজ্ঞাসা করিলাম-“এই তিন জনপদের প্রাচীন সভ্যতায় কোনরূপ আদান প্ৰদান ছিল কি ? আমেরিকায় যখন ইউরোপীয়েরা বসতি স্থাপন করিতে আসে তখন ত এখানে লোহিতাঙ্গ ইণ্ডিয়ান বাস