পাতা:বর্ত্তমান জগৎ চতুর্থ ভাগ.pdf/৫৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইয়াঙ্কি-চরিত্র সমালোচনা মৎস্য-পালন-বিভাগের কৰ্ত্তা বলিতে ছিলেন-“মহাশয়, আজকাল বাজারে শুষ্ঠাড, মাছ উঠিয়াছে। এই মাছ সমুদ্রে থাকে, এই ঋতুতে নদীতে উজান বহিয়া আসে। শ্যাড ( shad ) আপনাদের ঈলিশ ৷” এ কয়দিন ক্লাবে রোজই ঈলিশ মাছ ভাজা থাইতেছি! দেশ হইতে বাহির হইয়া প্ৰথম পাঁচ ছয় মাস পুরাপুরি নিরামিসাশী ছিলাম। ক্রমশঃ মাছ মাংস ধরিয়াছি-এখনও “গবাদি ধরিতে হয় मारें । একজন শিক্ষিতা নিগ্রো রমণীর সঙ্গে আলাপ হইল। হনি মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট-এক্ষণে ওয়াশিংটনের এক কৃষ্ণাঙ্গ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করিতেছেন। ইহঁর ভগ্নীরাও গ্র্যাজুয়েট এবং শিক্ষকতা করেন। ইহঁরা বহুকাল হইতে এই নগরের বাসীন্দ। ইহাদের গৃহ দেখিলাম-সাধারণত: শ্বেতাঙ্গাদিগের গৃহে যে সমুদয় আসবাব পত্ৰ দেখা যায় এখানেও তাঁহাই দেখিতে পাওয়া গেল। ইহঁদের কথাবাৰ্ত্তা চালচলন সবই অন্যান্য ইয়াঙ্কিদের মত । জিজ্ঞাসা করিলাম-“আপনার “নিগ্রো” নাম পছন্দ করেন-না। “কালার্ড” বা রঙ্গিন নাম পছন্দ করেন ?” ইহঁদের মতে নিগ্রো নামে কোন আপত্তি নাই। কিন্তু কালার্ড ( coloured ) বলিয়া পরিচয় দিতেই ইহঁরা চাহেন। আমি জিজ্ঞাসা করিলীম, “কেন?” উত্তর পাইলাম-“আফ্রিকান অথবা নিগ্রো শব্দে খানিকটা বিদ্বেষ এবং দূরত্ব প্ৰকাশিত হয়। কিন্তু আমরা আমেরিকার