পাতা:বর্ত্তমান জগৎ চতুর্থ ভাগ.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিষৎ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান । ২৯ । লাইব্রেরীর ভিতর চিত্রসংগ্ৰহালয়ও দেখিলাম। একটা বিশেষ কথা । এই যে, এই বিরাট কারবারের ভিতর অল্পবয়স্ক বালক-বালিকাদিগের ' জন্যও স্বতন্ত্র ব্যবস্থা করা হইয়াছে। তাহদের উপযোগী পুস্তকের গ क्षद्र ठाठा । ব্রিটিশ মিউজিয়ামের জীবতত্ত্ববিভাগ অপেক্ষা এখানকার ন্যাচার্যাল । হিষ্টরি মিউজিয়াম ক্ষুদ্রতার বোধ হইল। এখানে নৃতত্ত্ব । বিষয়ক কতকগুলি বস্তু ও সংগৃহীত হওয়া উচিত ছিল। এই বস্তুসমূহ দেখিয়া আমেরিকার আদিমনিবার্সিদিগের জীবন-যাত্ৰ-প্ৰণালী বুঝিতে পারা যায়। মেক্সিকো, পেরু, মধ্য | আমেরিকা ইত্যাদি জনপদের প্রাচীন সভ্যতা এবং লোহিতাঙ্গ ইণ্ডিয়ান জীবতত্ত্ববিষয়ক সংগ্ৰহালয় জাতিপুঞ্জের ক্লষি, শিল্প, গৃহ নিৰ্ম্মাণ, পোষাক, খাদ্যদ্রব্য, বিবাহ, ইত্যাদি । নানা বিষয় এই সমুদয়ের দ্বারা প্রচারিত হইতেছে। পূর্বে কখনও এই | দিকে বিশেষরূপে আমার দৃষ্টি পড়ে নাই। লণ্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়ামে । জগতের আদিম জাতিপুঞ্জ অথবা বৰ্ত্তমান কালের অসভ্য মানব সমাজ । সম্বন্ধে বহুবিধ তথ্যই সংগৃহীত আছে। কিন্তু ঔ বিশাল তথ্যসাগরের ভিতর আমেরিকার প্রাচীন নরসিমাজবিষয়ক বস্তু অন্বেষণ করিবার অবসর গ ঘটে নাই। সেইরূপ লণ্ডনে কেন্টিক সভ্যতার নিদর্শনও চোখে পড়ে । নাই। বিরাট প্রতিষ্ঠানে দুই চারিবার মাত্র প্রবেশ করিলে কোন | বিষয়ে বিশিষ্ট জ্ঞান অর্জন করা অসম্ভব। - কাজেই ডাবলিনের মিউজিয়ামে প্রাচীন কেন্টের জীবনযাত্রা বুঝিতে চেষ্টা কর। গিয়াহিল। সম্প্রতি নিউইয়র্কে আমেরিকার আদিম অধি- | বাসিন্নিগের কাৰ্য্যকলাপ বুঝিতে পরিলাম। এই সম্বন্ধে কয়েকখানা । গ্ৰন্থও প্রকাশিত হইয়াছে। এইগুলি সঙ্গে লইয়া মিউজিয়ামে ঘুরিলে । স্থায়ী ফললাভ হইতে পারে । :