পাতা:বর্ত্তমান জগৎ চতুর্থ ভাগ.pdf/৬১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R o वéभन्न खात्रं९ এখনও সংস্কৃতজ্ঞ ভারতবাসীর সংখ্যা অপেক্ষা ইংরাজীঞ্জ ভারতবাসীর সংখ্যা বোধ হয় বেশী নয়। পরস্তু, প্ৰত্যেক প্রদেশেই জনগণের সহস্রবর্ষব্যাপি মাতৃভাষার প্রসার ও পুষ্টি সাধিত হইতেছে। এক্ষণে বাধ্যতামূলক শিক্ষাপদ্ধতি অবলম্বন করিতে হইলে এই সকল প্ৰাদেশিক ভাষার সাহায্যই লইতে হইবে। কম্পালসারি এডুকেশনের নিয়ম অনুসারে কাৰ্য্য আরম্ভ হইলেও ইংরাজী ভাষাকে ভারতবাসীর একমাত্ৰ ভাষায় পরিণত করা অসাধ্য। খুব জোেব ত্রিশকোটি নরনারীর প্রত্যেকে ইংরাজীকে একটা সৰ্ব্বজনপরিচিত দ্বিতীয় ভাষাস্বরূপ বিবেচনা করিতে পারে। অবশ্য এই অবস্থা বৰ্ত্তমানে কল্পনা করাও কঠিন । ক্ষণেকের জন্য ইহা স্বীকার করিয়া লইলেও মাতৃভাষাগুলির বিভিন্নতা এবং অনৈক্য থাকিবেই বুঝা যাচিতেছে! সুতরাং সেই অবস্থায়ও আমেরিকার আদর্শে ভারতবর্ষে ভাষার ঐক্য স্থাপিত হইল না বলিতেই হইবে । বস্তুতঃ ভাষার অনৈক্য স্বাভাবিক-এই প্ৰাকৃতিক বৈচিত্রগুলির উচ্ছেদসাধন করা একপ্ৰকার অসম্ভব । যে সকল প্ৰাকৃতিক শক্তির প্ৰভাবে ভাষার উৎপত্তি ও বিকাশ কয় সেই সকল শক্তির প্রভাব যতদিন থাকিবে ততদিন তদনুরূপ বিভিন্নতা ও বৈচিত্র্য থাকিতে বাধ্য। মানুষ এই প্ৰাকৃতিক শক্তিগুলিকে পুরাপুরি অগ্ৰাহ করিতে পারে ন! } মানুষের চেষ্টায় এই শক্তিপুঞ্জের কথঞ্চিৎ নৃতন আকার দেওয়া যাইতে পারে মাত্র। তাহার প্রভাবে অনেক সময়ে সুফলও ফলিতে পারে। অধিকন্তু ইয়াঙ্কিস্থানের দৃষ্টান্তে ইয়োরোপের কোন লাভ নাট । একটা খাটী নূতন দেশে যে সকল কথা খাটে বহুদিনকার রীতিনীতিপদ্ধতিবিশিষ্ট মানবসমাজে সেই সকল কথা খাটে না । ইয়োরোপের জলবায়ুর সঙ্গে দুই সহস্র বর্ষের মানবকৰ্ম্ম মিশিয়া রহিয়াছে। ইয়োরোপ