SCG Wo Noi কবিবর জোগাইলেন। বিংশশতাব্দীর যুবক ভারত কি এই খণের’। মহাকাব্য লিখিবে ? ইহাতে আছে মাত্র তিন কথা :-(১) ধৰ্ম্ম-সংস্কার, { ২ ) সমাজ-সংস্কার, (৩) কংগ্রেসের রাষ্ট্র-নীতি-অৰ্থাৎ “ভারতীয় ঐক্য।” এই তিনটা তত্ত্বের ভিতর যতখানি দর্শন আছে তাহা বহুদিন হইল ভারতবাসীর হজম হইয়া গিয়াছে। বস্তুতঃ সেই দর্শনকে আজকাল আমরা “সেকেলে।” এবং বাতিলই বিবেচনা করিয়া থাকি। যুবক ভারতে নূতন দর্শন আসিয়াছে যে। সেই দর্শনের অনুযায়ী মহাকাব্যও একদিন লিখিত হইবে। ইতিমধ্যে ভূমিকাটা বাদ দিয়া বাঙ্গালীর ঘরে ঘরে "পৃথ্বীরাজ” পঠিত হউক । যাহারা প্ৰাচীন ভারত সম্বন্ধে কাব্য বা উপন্যাস লিখিতে চাহেন, তঁহার আগে রাষ্ট্র-বিজ্ঞান এবং ধন-বিজ্ঞান আয়ত্ত করুন। সেই সঙ্গে নব্য এবং প্রাচীন হয়োরোপের "ইতিহাস” দখলে আনুন। তাহার পর প্রাচীন ভারতের সন-তারিখ-সমন্বিত “প্ৰত্নতত্ত্ব”-নিৰ্দ্ধারিত নিরেট তথ্যগুলি মাথায় রাখুন। তারপর কোনদিন “জ্যান্ত” স্বাধীন হিন্দুধৰ্ম্ম, BBBBD Sg BDDS DBBDDDBD D BB D BD D BBS DD যা হ’ক কিছু লিখিবার ক্ষমতা জন্মিবে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের খবর না। রাখিয়া "ইতিহাস”। চর্চা করতে বসা বিড়ম্বন৷ মাত্র। ইতিমধ্যে যাহ। পাইতেছি তাহাই লাভ। "পৃথ্বীরাজ” একটা “একসপেরিমেন্ট” স্বরূপ আদরণীয়ইহা পথপ্ৰদৰ্শক । এই পথে চালাবার জন্য যুবক বাঙ্গালার কবিগণ প্ৰলুব্ধ হউন। কিন্তু উনবিংশ শতাব্দীর ভারতের মাপে মৌৰ্য্য, গুপ্ত ও পালের ভারত বুঝিতে চেষ্টা করিলে "পৃথ্বীরাজে”র :বির মতন জীবনাশক্তির কেন্দ্ৰ হইতে ভ্ৰষ্ট হহঁতে হইবে । দ্বিতীয় • মহাকাব্যের নাম “বার-কুমার-সম্ভব”। লেখক শ্ৰীযুক্ত মোহিনীমোহন চট্টোপাধ্যায়। "উপাসনা”য় মাত্র কয়েক পৃষ্ঠা পড়িলাম।
