পাতা:বর্ত্তমান জগৎ চতুর্থ ভাগ.pdf/৯৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓዓ8 वéन खात्रां६ ইতিহাসবিভাগে একদিন ফরাসী সেনাপতি ফরাসী ভাষায় বক্তৃতা করিলেন । তিন সপ্তাহে কতখানি ফরাসী শিখিয়াছি পরীক্ষা করিবার জন্য বক্তৃতায় উপস্থিত হইলাম। একটা শব্দও কানে ধরিতে পারিলাম না ! অথচ বই পড়িয়া বুঝতে পারি। “সাহিত্য-পাঠ” নামক এক প্ৰকার অনুষ্ঠানে ইয়াঙ্কির নরনারীর বোক খুব বেশী । “সাহিত্য-পাঠক” নামক এক প্রকার ব্যবসায়ী হয়াঙ্কিমহলে নামজাদ । ইহঁরা নাটক, নভেল, কাব্য, গল্প ইত্যাদি সাহিত্য-পাঠ করিয়া সভার লোকজনকে আপ্যায়িত করেন । এই ধরণের সাহিত্য-পাঠের মজলিশে শ্রোতার সংখ্যা যথেষ্ট দেখা যায় । অনেক সময়ে কবি, নাট্যকার বা গল্পলেখক নিজেরাই নিজেদের রচনা পাঠ করিয়া টাকা রোজগার করেন । গ্রীষ্মবিদ্যালয়ে এই ধরণের DBD E 0KSHt t DDS BB D DDDBDB BD হইতে নমুনা উদ্ধৃত করিয়৷ এক পাঠক বক্তৃতা করিলেন, কোন দিন অস্কার ওয়াইন্ডের এক নাটক পঠিত হইল, কোন দিন ডিকেন্সের নভেল, কোন দিন শেক্সপীয়ারের নাটক ইত্যাদি। আমেরিকায় কাব্য, সাহিত্য, ইত্যাদির সভায় নারী জাতিই এক মাত্র শ্রোতা বা দর্শক বলা যাইতে পারে। হাসি ঠাট্টা, রং তামাসা এবং হাল্কা সহজবোধ্য চিন্তার ফোড়ন এই সব যে সাহিত্যে থাকে সেই সাহিত্যের আদরই বেশী। ঘণ্টা দুএক কাল হাসিয়া ক্ষুক্তি করিয়া “ওল্ড মেড়া’ প্ৰৌঢ়ী এবং যুবতীরা ঘরে ফিরিয়া থাকেন। ভারতবর্ষে স্ত্রীশিক্ষা সুপ্ৰচলিত হইলে “সাহিত্যপাঠো”র আয়োজন আবশ্যক হইবে। কাব্য, নাটক, নভেলের কাটুতি বাড়িবে এবং বিদুষকের ভাড়ামি বিংশশতাব্দীর উপযোগী ভাবে নবরূপে দেখা দিবে। তখন ভারতের নরনারী সাহিত্যে হাস্যরস আস্বাদ করিবার প্রচুর মশলা পাইবেন। লেখক, পাটক, শ্রোতা সকলেই