পাতা:বর্ত্তমান জগৎ তৃতীয় ভাগ.pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

y Y7 ́ বিংশশতাব্দীর কুরুক্ষেত্র কারখানাগুলি সবই বন্ধ থাকিবে-তাহার ফলে লক্ষ লক্ষ শ্রমজীবী কৰ্ম্মহীন হইয়া রাস্তায় দাড়াইবে। তাহা ছাড়া রপ্তানীর কথা। তুলার সুতা, তুলার কাপড়, পশমের বস্ত্ৰ কয়লা ইত্যাদির কারবারে ইংরাজের সর্বাপেক্ষ। অধিক টাকা ও লোকজন খাটে । এই কারবারগুলি এক সপ্তাহ বন্ধ থাকিলে সমস্ত দেশের শিল্পী, মজুর ও কুলী মহলে অনশন ও অৰ্দ্ধাশন এবং অশান্তি ও বিদ্রোহ ঘটিতে বাধ্য। সুতরাং আমদানীর পথ অবরুদ্ধ হইলে ইংরাজ শ্রমজীবী সমাজে যে কৰ্ম্মভাব এবং (রাজগারাভাব ঘটে বুপ্তানীর উপায় বন্ধ হইলে শ্রমজীবী সমাজে বিপদ ত্যাহ! অপেক্ষা বেশী পরিমাণে ও শোচনীয় আকারে দেখা দেয়। বিদেশীয় ব্যবসায়বাণিজ্যের উপর প্রথমতঃ ইংরাজি-জাতির খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহ এবং ধনসংগ্ৰহ নির্ভর করে ; দ্বিতীয়তঃ ইংরাজ ধনিগণের ধনৈশ্বৰ্য্য নির্ভর করে ; তৃতীয়তঃ ইংরাজ মজুরদিগের জীবন নির্ভর করে । এই মজুর সমস্যাই ইংরাজরাষ্ট্রে সর্বাপেক্ষা ভীষণ সমস্যা। ইংরাজের আমদানী সম্প্রতি আমেরিকা, নিউজীল্যণ্ড ইত্যাদি দেশ হইতে সহজেই চলিতেছে। এরূপ সহজে চলিবে কি না সেই' সন্দেহে এখানকার মূল্যবৃদ্ধি হইয়া থাকে, এবং কলকারখানার মালিকের কারবার খুলিতে বা বন্ধ করিতে প্ৰবৃত্ত হন। যতদিন ইংরাজ-রণতরী আটলান্টিক মহাসাগরে একাধিপত্য রক্ষা করিতে সমর্থ হইবে ততদিন এই আমদানি চলিতে থাকিবে। কিন্তু আমদানী হইলেই বা কি হইবে ? কৃষিজাত উপকরণসমূহ না হয় কল কারখানার মাল গুদামে আসিয়া জমা হইল। কিন্তু এই উপকরণগুলি ব্যবহার করিয়া শিল্প সামগ্ৰী প্ৰস্তুত করা হইতে BBBDBD BD S uBD L0LDSgLDBOS BDDDDS DD DBDBDB sKD করিয়া কারখানায় মজুত করিলেত লাভ হইবে না। এগুলি বাজারে বেচিতে পারা চাই-অর্থাৎ রপ্তানী করিতে পারা আবশ্যক। কিন্তু