পাতা:বর্ত্তমান জগৎ তৃতীয় ভাগ.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

so বিংশশতাব্দীর কুরুক্ষেত্র লণ্ডনের অবস্থাও এইরূপ। অনেকগুলি কোম্পানী দেউলিয়া হইল। কোম্পানীর কাগজ বেচিয়া দালালের টাকা হাতে চায়। কিন্তু এত লোক কাগজ বেচিতে চাহে যে কাগজের বাজার নিতান্তই নরম হইয়া পড়িল। এই দরে কাগজ বেচা অপেক্ষা না বেচিয়া দেউলিয়া হওয়াই ভাল-অনেক ব্যবসাদারই এইরূপ ভাবিতেছেন। এদিকে ব্যাঙ্কের টাকা তুলিয়া লইবার জন্য সহস্ৰ সহস্ৰ লেটি ঝুকিয়াছে। তাহা ছাড়া নোটের বদলে টাকা সংগ্ৰহ করিতেও সকলেই ব্যস্ত। ব্যাঙ্কের উপর টাকার চাহিদা এত হইলে ব্যাঙ্কগুলি শীঘ্রই ফেল মারিবে। আবার দালাল ও ব্যবসাদারের টাকার বাজারে ধার না পাইলে দেশের শিল্প ও বাণিজ্য জখম হইয়া পড়িবে। লড়াইয়ের সময় ইহাই বৰ্ত্তমান যুগে সর্ব কঠিন সমস্যা। টাকার বাজার স্থির না থাকিলে দেশ অল্পকালের ভিতরই শিল্পহীন ব্যবসায়হীন হইয়া যায় । কাজেই আগে টাকার বাজার হইতে হুজুগ ও উদ্বেগ নিবারণ করা সকল রাষ্ট্রবীরের কৰ্ত্তব্য। আবার শত্রুপক্ষীয়েরাও চেষ্টা করিয়া দেশীয় ব্যবসায়িমহলে এবং ব্যাঙ্ক-মহল্লায় ও বিনিময়-বাজারে একটা গণ্ডগোল সৃষ্টি করিয়া দিতে পারে। যুদ্ধক্ষেত্রে মারকাট অপেক্ষ দেশের ভিতরেই শক্রকে পরাজিত করা অসম্ভব নয়। কোন উপায়ে ব্যাঙ্কগুলিকে ফেল করাইতে পারিলে সমাজের সকল অঙ্গই বিক করিয়া তোলা যায় । তুহার ফলে দেশের ভিতর ধনী, মহাজন, শ্রমজীবী, বণিক, কৃষক ইত্যাদি সকল শ্রেণীর লোক যুদ্ধ বা বিপ্লবের বিরুদ্ধে দাড়ায়। এই অবস্থায় ঘরোয় বিবাদ অথবা আভ্যন্তরীণ কং এত বেশী হয় যে তাহা সামলাইয়া বিদেশীয় শত্রুর সঙ্গে लझौदे कब्र অসম্ভব হইয়া উঠে। এইজন্য রাষ্ট্রবীরের যুদ্ধের বা বিপ্ন ब्रजभएड्स “টাকার বাজার’কে যথাসম্ভব শান্ত করিয়া রাখিতে চেষ্টত হন । বৰ্ত্তম