পাতা:বর্ত্তমান জগৎ তৃতীয় ভাগ.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিংশশতাব্দীর কুরুক্ষেত্র হইয়া মূল্য বাড়াইয়া দিবে। অথচ এখন পৰ্য্যন্ত বিলাতে যুদ্ধের কোন প্রভাবই পৌছে নাই । কোন কোন সংবাদ পত্রের লোক লণ্ডনের নানা পাড়ায় বেড়াইয়া দোকানদারগণের সঙ্গে আলোচনা করিতেছেন। দোকানদারের বলিতেছে—বড়ই দুঃখের কথা দেশের ধনী লোকগুলাই হুজুগ বাড়াইয়া তুলিলেন। ইহঁরা কেহ এক বৎসরের মাল কেহ ছয় মাসের রসদ ক্রয় করিয়া রাখিতেছেন । ইহঁরা এত স্বার্থপর যে, দরিদ্র প্রতিবেশীদিগের অবস্থা কি হইবে তাহা বুঝিতেছেন না । ইহারা যে রোজ আনে রোজ খায়। কিন্তু বড় লোকেরা যদি দোকানের সকল জিনিষই কিনিয়া রাখিলেন এবং বাজার নি:শেষ করিয়া দিলেন তাহা হইলে দরিদ্র জনগণ কোথা হইতে খাদ্যদ্রব্য পাইবে ? অধিকন্তু বড় লোকেরা সস্তায় মাল লাইতে যাইয়া গরীব লোকদিগকে বেশী দামে লইতে বাধ্য করতেছেন। না কি ? একজন দোকানদার বলিল, “মহাশয়, এমন অনেক পরিবার জানি যাহারা সাধারণতঃ ২২ টাকার বাজার করে এক্ষণে তাহারা ১০। ৩২টাকার বাজার করিতেছে। ইহা অন্যায় নয় কি ?” কোন কোন দোকানদার খরিদদারদিগের অর্ডার যথাসম্ভব কমাইয়া মাল সরবরাহ করিতেছে। ১৪ সেরা মটরশুটির স্থানে এক সেরা দেওয়া হইতেছে-দুই বস্তা আটার অর্ডার পাইলে তাহার ঐ অংশ সন্ধুবরাহ করা যাইতেছে।. কাণ্ডকারখানা দেখিয়া মনে হয় যেন লণ্ডননগর শত্রু কর্তৃক অবরুদ্ধ হইয়াছে—খাদ্যদ্রব্য আর পাওয়া যাইবে না। সময় থাকিতে যে যেমন পারে তেমন রসদ সংগ্ৰহ করুক। এইরূপ হুজুগের ফলে মূল্য সকলদিকেই বাড়িতেছে। একদিন একা দোকানে এজন্য দাঙ্গা হইয়া গেল। প্ৰায় ১৫২৭ জন স্ত্রীলোক দোকানদারের উপর চটিয়া তাহার টেবিলের