পাতা:বর্ত্তমান জগৎ তৃতীয় ভাগ.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যুদ্ধারম্ভে নগরদৃশ্য ভাঙ্গিয়া ফেলিবার জন্য জাৰ্ম্মােণ সেনানায়ক কর্তৃক আদিষ্ট । কাজেই ফ্রান্সের আলিগলি, হাট বাজার, হোটেল দোকান, রেল, নৌকা সবই কঠোর সামরিক আইনে শাসিত হইতেছে। বাস্তবিক পক্ষে ফ্রান্সের প্রত্যেক আবাল বৃদ্ধ বনিতাই যুদ্ধসংক্রান্ত কোন না কোন কাজে লাগিয়া গিয়াছে। সমগ্র জাতিই সশস্ত্র বলা যাইতে পারে। মাষ্টার, কেরাণী, উকীল, মন্ত্রী, তাতা, কৰ্ম্মকার, মিস্ত্রী, মজুর, কৃষক, মেষপালক, শাসনকৰ্ত্তা, মাঝি, ইত্যাদি সকল শ্রেণীর সবল লোকই অস্ত্ৰধারণ করিয়াছে। রমণীরা হাসপাতালের কাজে লাগিতেছে। যুদ্ধে আহত ব্যক্তিগণের শুশ্রুষা করিবার জন্য ইহার শিক্ষা পাইতেছে । আফিস, কাৰ্য্যালয়, রেলওয়ে ইত্যাদি কৰ্ম্মকেন্দ্ৰ হইতে পুরুষের যুদ্ধক্ষেত্রে চলিয়া গিয়াছে । ইহাদিগের স্থানে কাৰ্য্য করিবার জন্য সহস্ৰ সহস্র রমণী নিযুক্ত হইয়া গেল। Šst (33 (at “A nation in arms." ইংল্যাণ্ডেও হৈচৈ, হুজুগ, গল্প গুজব কম নয়। রেল, ডাকঘর, তার, টেলিফোন সবই গবর্মেন্টের শাসনাধীন হইয়া পড়িয়াছে। বাজার দর হইতে ব্যাঙ্কের ব্যবস্থা পৰ্য্যন্ত সকল দিকেই গবমেণ্ট দৃষ্টি দিয়াছেন। ইংল্যণ্ড স্কটল্যণ্ড ও আয়ার্ল্যাণ্ডের সর্বত্রই যথাসাধ্য দেশরক্ষার উপায়ু অবলম্বিত হইয়াছে। নগরে নগরে লোকেরা যুদ্ধের সংবাদ পাইবার জন্য ব্যস্ত। সকল স্থান হইতেই দেশসেবার জন্য অসংখ্য প্রকার প্রস্তাব । ও আলোচনা প্ৰত্যেক কাগজে ছাপা হইতেছে। নানা উদ্দেশ্যে মুষ্টিভিক্ষা, জামাভিক্ষা, টাকাভিক্ষা, গৃহভিক্ষা ইত্যাদি আরব্ধ হইয়াছে। দিনে ৮৪১ বার করিয়া কোন কোন সংবাদপত্রের নূতন নূতন সংস্করণ বাহির হইতেছে। যুদ্ধের খাটি খবর থাকুক বা না থাকুক গল্প গুজব, লোমহর্ষণ কাণ্ড, অসমসাহসিকতার কাহিনী ইত্যাদিতে কাগজগুলি পরিপূর্ণ থাকে। তাহাই আবার দেশের শিক্ষিত অশিক্ষিত সকলেই অতি সাবধানতার