পাতা:বর্ত্তমান জগৎ তৃতীয় ভাগ.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sy বিংশশতাব্দীর কুরুক্ষেত্র নিজ নিজ কৰ্ত্তব্য পালন করিতেছেন। জলদান, অন্নদান, বস্ত্ৰদান, ঔষধদান, অর্থদান, প্ৰাণদান-সকলেই এক সঙ্গে সকল প্ৰকার দান করিবার। জন্য প্ৰস্তুত বোধ হইতেছে। দেশের অশিক্ষিত ও অৰ্দ্ধশিক্ষিত লোককে বুঝাইবার জন্য এবং সাহস ও আশা দিবার জন্য এক সঙ্গে হাজার হাজার কৰ্ম্মী ও বক্তা লাগিয়া গিয়াছেন। এই বিপুল সেবার আন্দোলন দেখিয়া বিস্মিত ও পুলকিত হইতেছি। দেখিতেছি—সেনাবিভাগে ও রণতরী- , বিভাগে কৰ্ম্ম করাই স্বদেশসেবার একমাত্র উপায় নয়। বরং অন্যান্য কৰ্ম্মক্ষেত্রেই কম্মিসংখ্যা প্রচুর পরিমাণে আবশ্যক। দেশের ভিতরে নানা শ্রেণীর বহুসংখ্যক কৰ্ম্মতৎপর লোক না থাকিলে কেবল সৈনিক বিভা গের দ্বার স্বদেশ রক্ষা করা অসম্ভব । বিখ্যাত টাইমস পত্রিকার সম্পাদক প্রধানতঃ ১০টি নিয়ম পালন করিবার জন্য সকল ইংরাজকে অনুরোধ করিতেছেন :- (১) মাথা ঠিক রাখিও । শান্তভাবে সাধারণ কাজ কৰ্ম্ম করিয়া যাও। নিরর্থক হুজুগ বা আন্দোলন সৃষ্টি করিও না। (২) পরের কথা আজকাল কিছু বেশী ভাবিও। প্ৰতিবেশীর খাওয়া । পরা চলিতেছে কি না যুদ্ধের সময়ে তাহার বিশেষ অনুসন্ধান করিও । মামুলি অবস্থায় স্বদেশ ও সমাজের কথা যত ভাবিয়া থাক তাহা অপেক্ষা : এক্ষণে বেশী ভাবিও । (৩) নিজ নিজ গণ্ডী ও কৰ্ম্মক্ষেত্রের ভিতর থাকিয়াই যথাসম্ভব নিজ নিজ কৰ্ত্তব্য করিয়া যাও । অনধিকার চর্চা বা নিরর্থক আলোচনায় । সময় কাটাইও না। সকল বিষয়েই সংযত ও মিতব্যয়ী হইও । খাওয়া পরা সম্বন্ধে বিলাসের মাত্রা কমাইয়া দাও। : চোপড় ইত্যাদি বেশী বেশী কিনিয়া ঘরে রাখিও না!! এরূপ করিলে