পাতা:বর্ত্তমান বাঙ্গালা সাহিত্যের প্রকৃতি.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8 २ ] করা হয় । ইংরাজ অপরের প্রণালীতে ইংরাজা লিখিতে ঘৃণা বোধ করেন ; অপরকে ইংবাজী হইতে ভিন্ন প্রণালীতে ইংরাজী লিখিতে দেখিলে, কতই উপহাস করেন । ইংবাজ মানুষ, ইংরাজের আত্মমর্য্যাদা বোধ আছে । বাঙ্গালা ভাষা দরিদ্র হইলেও, এত দবিন্দ্র নহে যে, ইংবাজী বকমে বাঙ্গালা না লিখিলে চলে না । “আমরা নিরুপায ভাবে ইংবগজেব হস্তগত একথার যে অর্থ, ‘ইংবাজ আমাদিগকে এমনই হস্তগত কবিযাছেন যে আমাদেব উদ্ধাবেব অব উপায নাই’, এ কথার ও কি সেই অর্থ নহে ? ঐ যুবকের প্রতি অঙ্গে উচ্চ কুলশীল নিখাত এই কথাব অর্থ, এবং ঐ যুবক যে উচ্চ কুলশীল সম্পন্ন উহাব দেহের যে কোন অঙ্গ দেখিলে তদ্বিষযে কিছু মাত্র সন্দেহ থাকে না?এইকথার অর্থ কি এক নয ? আর একটা কথা এই যে, লেখা কেবল লেখকেধ নিজের সক মিটাইবাব বা মনস্তুষ্টির জন্য নহে । লেখা প্রধানতঃ পরোপকারার্থ, অর্থাৎ, অপরে পড়িয উপকৃত হইবে বলিযা । অতএব যে প্রণালীতে লিখিলে অপরে লেখা বুঝিতে পরিবে না, সে প্রণালীতে লিখিতে নাই, লিখিলে সহৃদয়ত,