পাতা:বহুবিবাহ.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বহুবিবাহ।
৯১

বিবাহ না করে, তবে সেই দারবিরহিত ব্যক্তি আশ্রমত্রংশনিবন্ধন পাতকগ্রস্ত হয়; এজন্য, ঐ অবস্থায় গৃহস্থ ব্যক্তির পক্ষে পুনরায় দারপরিগ্রহের অবশ্যকর্ত্তব্যতাবোধনার্থে, শাস্ত্রকারের দ্বিতীয় বিধি প্রদান করিয়াছেন। স্ত্রীর বন্ধ্যাত্ব চিররোগিত্ব প্রভৃতি দোষ ঘটিলে, পুত্রলাভ ও ধর্ম্মকার্য্যসাধনের ব্যাঘাত ঘটে; এজন্য, শাস্ত্রকারেরা তাদৃশ স্থলে স্ত্রীসত্ত্বে পুনরায় বিবাহ করিবার তৃতীয় বিধি দিয়াছেন।গৃহস্থাশ্রমসমাধানার্থ শাস্ত্রোক্তবিধানামুসারে সবর্ণাপরিণয়ান্তে, যদি কোনও উৎকৃষ্ট বর্ণ যদৃচ্ছাক্রমে বিবাহে প্রবৃত্ত হয়, তাহার পক্ষে অসবর্ণাবিবাহে অধিকারবোধনার্থ শাস্ত্রকারের চতুর্থ বিধি প্রদর্শন করিয়াছেন; এবং এই বিধি দ্বারা, তাদৃশ ব্যক্তির তথাবিধ স্থলে সবর্ণাবিবাহ একবারে নিষিদ্ধ হইয়াছে।

 স্মৃতিরত্ন, বেদরত্ন প্রভৃতি মহাশয়দিগের অবলম্বিত প্রথম ও দ্বিতীয় প্রমাণে যে বিবাহের বিধি পাওয়া যাইতেছে, তাহা কাম্যবিবাহ; কারণ, প্রথম প্রমাণে, “যে ব্যক্তি এক স্ত্রী বিবাহ করিয়া রতিকামনায় অন্য স্ত্রী বিবাহ করিতে ইচ্ছা করেন", এবং দ্বিতীয় প্রমাণে, “রতিবিষয়ক সাতিশয় অনুরাগ থাকিলে তাঁহারা অনেক ভার্য্যাও গ্রহণ করিবেন”, এইরূপে কাম্য বিবাহের স্পষ্ট পরিচয় প্রদত্ত হইয়াছে। রতিকামনা ও রতিবিষয়ক সাতিশয় অনুরাগবশতঃ যে বিবাহ করা হইবেক, তাহা কাম্য বিবাহ ব্যতিরিক্ত নামান্তর দ্বারা উল্লিখিত হইতে পারে না। মনু কাম্যবিবাহস্থলে অসবর্ণবিবাহের বিধি দিয়াছেন, এবং সেই বিধি দ্বারা তথাবিধ স্থলে সবর্ণাবিবাহ একবারে নিষিদ্ধ হইয়াছে। সুতরাং স্মৃতিরত্ন, বেদরত্ন প্রভৃতি মহাশয়দিগের অবলম্বিত প্রথম ও দ্বিতীয় প্রমাণ দ্বারা ইহাই প্রতিপন্ন হইতেছে, যে ব্যক্তি, সবর্ণাবিবাহ করিয়া, রতিকামনায় পুনরায় বিবাহ করিতে উদ্যত হয়, সে অসবর্ণ বিবাহ করিতে পারে; নতুবা যদৃচ্ছাক্রমে বিবাহপ্রবৃত্ত ব্যক্তি, রতিকামনা পূর্ণ করিবার