পাতা:বহুবিবাহ.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯২
বহুবিবাহ।

নিমিত্ত, পূর্ব্বপরিণীতা সজাতীয় স্ত্রীর জীবদ্দশায়, পুনরায় সজাতীয়া বিবাহ করিবেক, ইহা কোনও ক্রমে প্রতিপন্ন হইতে পারে না। মদনপারিজাতধৃত স্মৃতিবাক্যে ও ব্রহ্মাণ্ডপুরাণবচনে সামান্যাকারে কাম্যবিবাহের বিধি আছে, তাদৃশবিবাহাকাঙ্ক্ষী ব্যক্তি সবর্ণা বা অসবর্ণা বিবাহ করিবেক, তাহার কোনও নির্দ্দেশ নাই। মনু কাম্য- বিবাহের বিধি দিয়াছেন, এবং তাদৃশবিবাহাকাঙ্ক্ষী ব্যক্তি অসবর্ণা বিবাহ করিবেক, স্পষ্টাক্ষরে নির্দ্দেশ করিয়াছেন। এমন স্থলে, মনুবাক্যের সহিত একবাক্যতা সম্পাদন করিয়া, উল্লিখিত স্মৃতিবাক্য ও পুরাণবাক্যকে অসবর্ণাবিবাহবিষয়ক বলিয়া ব্যবস্থা করাই প্রকৃত শাস্ত্রার্থ, সে বিষয়ে কোনও অংশে কিছুমাত্র সংশয় বা আপত্তি হইতে পারে না। অতএব, ঐ দুই প্রমাণ অবলম্বন করিয়া, যদৃচ্ছাপ্রবৃত্ত বহুবিবাহকাণ্ড শাস্ত্রসম্মত ব্যবহার, ইহা প্রতিপন্ন করতে চেষ্টা করা নিতান্ত নিষ্ফল প্রয়াসমাত্র।

 স্মৃতির, বেদরত্ন প্রভৃতি মহাশয়দিগের অবলম্বিত তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, অষ্টম, নবম ও দশম প্রমাণ অসবর্ণাবিবাহবিষয়ক বচন। অসবর্ণা বিবাহব্যবহার কলিযুগে রহিত হইয়াছে; সুতরাং, এ স্থলে, তদ্বিষয়ে কিছু বলিবার প্রয়োজন নাই। তাঁহাদের অবলম্বিত অবশিষ্ট প্রমাণে এক ব্যক্তির অনেক স্ত্রী বিদ্যমান থাকার উল্লেখ আছে, কিন্তু তদ্বারা যদৃচ্ছাপ্রবৃত্ত বহুবিবাহকাণ্ড শাস্ত্রসম্মত বলিয়া প্রতিপন্ন হইতে পারে না। ঐ সকল প্রমাণ সর্ব্বাংশে পরম্পর এত অনুরূপ যে একটি প্রদর্শিত হইলেই, সকলগুলি প্রদর্শিত করা হইবেক। এজন্য, এস্থলে তন্মধ্যে একটি প্রমাণ উদ্ধৃত হইতেছে;—

৭। সর্ব্বাসামেকপত্নীনামেকা চেৎ পুত্রিণী ভবেৎ।
সর্ব্বাস্তেন্তেন পুত্রেণ প্রাহ পুত্রবতীর্ম্মনুঃ॥ মনুঃ

স্বজাতীয় বহু স্ত্রীর মধ্যে যদি একটি স্ত্রী পুত্রবতী হয়; তবে সেই পুত্র দ্বারা সকল স্ত্রীকেই মনু পুত্রবতী কহিয়াছে।