নিমিত্ত, পূর্ব্বপরিণীতা সজাতীয় স্ত্রীর জীবদ্দশায়, পুনরায় সজাতীয়া বিবাহ করিবেক, ইহা কোনও ক্রমে প্রতিপন্ন হইতে পারে না। মদনপারিজাতধৃত স্মৃতিবাক্যে ও ব্রহ্মাণ্ডপুরাণবচনে সামান্যাকারে কাম্যবিবাহের বিধি আছে, তাদৃশবিবাহাকাঙ্ক্ষী ব্যক্তি সবর্ণা বা অসবর্ণা বিবাহ করিবেক, তাহার কোনও নির্দ্দেশ নাই। মনু কাম্য- বিবাহের বিধি দিয়াছেন, এবং তাদৃশবিবাহাকাঙ্ক্ষী ব্যক্তি অসবর্ণা বিবাহ করিবেক, স্পষ্টাক্ষরে নির্দ্দেশ করিয়াছেন। এমন স্থলে, মনুবাক্যের সহিত একবাক্যতা সম্পাদন করিয়া, উল্লিখিত স্মৃতিবাক্য ও পুরাণবাক্যকে অসবর্ণাবিবাহবিষয়ক বলিয়া ব্যবস্থা করাই প্রকৃত শাস্ত্রার্থ, সে বিষয়ে কোনও অংশে কিছুমাত্র সংশয় বা আপত্তি হইতে পারে না। অতএব, ঐ দুই প্রমাণ অবলম্বন করিয়া, যদৃচ্ছাপ্রবৃত্ত বহুবিবাহকাণ্ড শাস্ত্রসম্মত ব্যবহার, ইহা প্রতিপন্ন করতে চেষ্টা করা নিতান্ত নিষ্ফল প্রয়াসমাত্র।
স্মৃতির, বেদরত্ন প্রভৃতি মহাশয়দিগের অবলম্বিত তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, অষ্টম, নবম ও দশম প্রমাণ অসবর্ণাবিবাহবিষয়ক বচন। অসবর্ণা বিবাহব্যবহার কলিযুগে রহিত হইয়াছে; সুতরাং, এ স্থলে, তদ্বিষয়ে কিছু বলিবার প্রয়োজন নাই। তাঁহাদের অবলম্বিত অবশিষ্ট প্রমাণে এক ব্যক্তির অনেক স্ত্রী বিদ্যমান থাকার উল্লেখ আছে, কিন্তু তদ্বারা যদৃচ্ছাপ্রবৃত্ত বহুবিবাহকাণ্ড শাস্ত্রসম্মত বলিয়া প্রতিপন্ন হইতে পারে না। ঐ সকল প্রমাণ সর্ব্বাংশে পরম্পর এত অনুরূপ যে একটি প্রদর্শিত হইলেই, সকলগুলি প্রদর্শিত করা হইবেক। এজন্য, এস্থলে তন্মধ্যে একটি প্রমাণ উদ্ধৃত হইতেছে;—
৭। সর্ব্বাসামেকপত্নীনামেকা চেৎ পুত্রিণী ভবেৎ।
সর্ব্বাস্তেন্তেন পুত্রেণ প্রাহ পুত্রবতীর্ম্মনুঃ॥ মনুঃ
- স্বজাতীয় বহু স্ত্রীর মধ্যে যদি একটি স্ত্রী পুত্রবতী হয়; তবে সেই পুত্র দ্বারা সকল স্ত্রীকেই মনু পুত্রবতী কহিয়াছে।