পাতা:বহুবিবাহ.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

প্রথম আপত্তি।

এরূপ কতগুলি লোক আছেন যে বহুবিবাহপ্রথার দোষকীর্ত্তন বা নিবারণকথার উত্থাপন হইলে, তাঁহারা খড়গহস্ত হইয়া উঠেন। তাহাদের এরূপ সংস্কার আ ছে, বহুবিবাহকাণ্ড শাস্ত্রানুমত ও ধর্ম্মানুগত ব্যাপার। যাঁহারা এ বিষয়ে বিরাগ বা বিদ্বেষ প্রদর্শন করেন, তাঁহাদের মতে তাদৃশ ব্যক্তি সকল শাস্ত্রদ্রোহী ধর্মদ্বেষী নাস্তিক ও নরাধম বলিয়া পরিগণিত। তাঁহারা সিদ্ধান্ত করিয়া রাখিয়াছেন, বহুবিবাহপ্রথা নিবারিত হইলে, শাস্ত্রের অবমাননা ও ধর্ম্মলোপ ঘটিবেক। তাঁহারা শাস্ত্র ও ধর্ম্মের দোহাই দিয়া বিবাদ ও বাদানুবাদ করিয়া থাকেন, কিন্তু, এ বিষয়ে শাস্ত্রেই বা কতদূর পর্যন্ত অনুমোদন আছে, এবং পুরুষজাতির উচ্ছল ব্যবহার দ্বারাই বা কতদূর পর্যন্ত অনার্য্য, আচরণ ঘটিয়া উঠিয়াছে, তাহা সবিশেষ অবগত নহেন। এ দেশে সকল ধর্ম্মই শাস্ত্রমুলক, শাস্ত্রে যে বিষয়ের বিধি আছে, তাহাই ধর্ম্মানুগত বলিয়া পরিগৃহীত, আর শাস্ত্রে যাহা প্রতিষিদ্ধ হইয়াছে, তাহাই ধর্ম্মবহির্ভুত বলিয়া পরিণিত হইয়া থাকে। সুতরাং, বিবাহবিষয়ে শাস্ত্রকারদিগের যে সমস্ত বিধি অথবা নিষেধ আছে, তৎসমুদয় পরীক্ষিত হইলেই, বহুবিবাহকাণ্ড শাস্ত্রানুমত ও ধর্ম্মা নুগত ব্যাপার কি না, এবং বহুবিবাহ প্রথা নিবারিত হইলে শাস্ত্রের অবমাননা ও ধর্ম্মলেপের শঙ্কা আছে কি না, অবধারিত হইতে পারিবেক।