পাতা:বহুবিবাহ.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০
বহুবিবাহ।

স্ত্রী বন্ধ্যা প্রভৃতি স্থির হইবে, তৃতীয় বিধি অনুসারে সবর্ণাবিবাহ অবশ্য কর্তব্য; সবর্ণাবিবাহ করিয়া যদৃচ্ছাক্রমে বিবাহপ্রবৃত্ত হইলে, ইচ্ছা হয় চতুর্থ বিধি অনুসারে অসবর্ণা বিবাহ করিবেক, অসবর্ণাব্যতিরিক্ত বিবাহ করিতে পারিবেক না। কলিযুগে অসবর্ণাবিবাহব্যবহার রহিত হইয়াছে, সুতরাং যদৃচ্ছাপ্রবৃত্ত বিবাহের আর স্থল নাই।

 এক্ষণে ইহা বিলক্ষণ প্রতিপন্ন হইতেছে যে ইদানীন্তন যদৃচ্ছা প্রবৃত্ত বহুবিবাহকাণ্ড কেবল শাস্ত্রকারদিগের অনুমোদিত নয় এরূপ নহে, উহা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হইতেছে। সুতরাং যাঁহারা যদৃচ্ছাক্রমে বহু বিবাহ করিতেছেন, তাঁহারা নিষিদ্ধ কর্ম্মের অনুষ্ঠানজন্য পাতকগ্রস্ত হইতেছেন। যাজ্ঞবল্ক্য কহিয়াছেন,

বিহিতস্যাননুষ্ঠানান্নিন্দিতস্য চ সেবনাৎ।
অনিগ্রহাচ্চেন্দ্রিয়াণাং নরঃ পতনমূচ্ছতি॥৩।২১৯।

বিহিত বিষয়ের অবহেলন ও নিষিদ্ধ বিষয়ের অনুষ্ঠান করিলে, এবং ইন্দ্রিয়বশীকরণ করিতে না পারিলে, মনুষ্য পাতকগ্রস্ত হয়।

 কোনও কোনও মুনিবচনে এক ব্যক্তির অনেক স্ত্রী বিদ্যমান থাকা নির্দিষ্ট আছে, তদ্দর্শনে কেহ কেহ কহিয়া থাকেন, যখন শাস্ত্রে এক ব্যক্তির যুগপৎ বহু স্ত্রী বিদ্যমান থাকার স্পষ্ট উল্লেখ দৃষ্টিগোচর হইতেছে, তখন যদৃচ্ছাপ্রবৃত্ত বহু বিবাহ শাস্ত্রকাৱদিগের অনুমোদিত কার্য্য নহে, ইহা কি রূপে পরিগৃহীত হইতে পারে। তাঁহাদের অভিপ্রেত শাস্ত্র সকল এই,—

১। সবর্ণা বহুভার্য্যাসু বিদ্যমানাসু জ্যেষ্ঠয়া সহ ধর্ম্মকার্য্যং কারয়েৎ।[১]

সজাতীয়া বহু ভার্য্যা বিদ্যমান থাকিলে জ্যেষ্ঠার সহিত-ধর্ম্ম-কার্য্যের অনুষ্ঠান করিবেক।
  1. বিষ্ণুসংহিতা। ২৬ অধ্যায়।