পাতা:বহুবিবাহ.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৮
বহুবিবাহ।

ডিংসাইকন্যা, বিবাহ করেন। মুলুকজুরী পঞ্চগোত্রবহির্ভূত সপ্তশতী- সম্প্রদায়ের অন্তর্বর্ত্তী; গড়গড়ি, পিপলাই ও ডিংসাই গৌণ কুলীন। ফুলিয়া ও খড়দহ মেলের লোকেরা কুলীন বলিয়া যে অভিমান করেন, তাহা সম্পূর্ণ ভ্রান্তিমুলক; কারণ, বংশজ, গৌণ কুলীন ও সপ্তশতী কন্যা বিবাহ দ্বারা বহু কাল তাঁহাদের কুলক্ষয় ও বংশজ- ভাবাপত্তি ঘটিয়াছে। অধিকন্তু, যবনদোষস্পর্শবশতঃ, ফুলিয়ামেলের লোকদিগের জাতিভ্রংশ হইয়া গিয়াছে। এইরূপ, সকল মেলের লোকেরাই কুবিবাহাদিদোষে কুলভ্রষ্ট ও বংশজভাবাপন্ন হইয়া গিয়াছেন। ফলতঃ, মেলবন্ধনের পূর্ব্বেই বল্লাল প্রতিষ্ঠিত কুলমর্য্যাদার লোপাপত্তি হইয়াছে। এক্ষণে যাঁহারা কুলীন বলিয়া অভিমান করেন, তাঁহারা বাস্তবিক বহু কালের বংশজ। যাঁহাৱা বংশজ বলিয়া পরিগণিত হইয়া থাকেন, কৌলীন্যপ্রথার নিয়মানুসারে, ভঁহাদের সহিত ইদানীন্তন কুলাভিমানী বংশজদিগের কোনও অংশে কিছুমাত্র বিভিন্নতা নাই[১]

 যেরূপ দর্শিত হইল, তদনুসারে বহু কাল রাঢ়ীয় ব্রাহ্মণদিগের কৌলীন্যমর্য্যাদা লয়প্রাপ্ত হইয়াছে। কৌলীন্যের নিয়মানুসারে কুলীন বলিয়া গণনীয় হইতে পারেন, ইদানীং ঈদৃশ ব্যক্তিই অপ্রাপ্য ও অপ্রসিদ্ধ। অতএব, যখন কুলীনের একান্ত অসদ্ভাব ঘটিয়াছে, তখন, বহুবিবাহপ্রথা নিবারিত হইলে, কুলীনদিগের জাতিপাত ও ধর্ম্মলোপ ঘটিৰেক, এই আপত্তি কোনও মতে ন্যায়োপেত বলিয়া অঙ্গীকৃত হইতে পারে না।

 দেবীবর যে যে ঘর লইয়া মেল বদ্ধ করেন, সেই সেই ঘরে


  1. কি কি দোষে কোন কোন মেল বদ্ধ হয়, দোষমালাগ্রন্থে তাহার সবিস্তর বিবরণ আছে; বাহুল্যভয়ে এস্থলে সে সকল উল্লিখিত হইল না। যাঁহার সবিশেষ জানিতে চাহেন, তাঁহাদের পক্ষে দোষমালাগ্রন্থ দেখা আবশ্যক।