পাতা:বহুবিবাহ.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বহুবিবাহ।
২৯

আদান প্রদান ব্যবস্থাপিত হয়। মেলবন্ধনের পূর্ব্বে, কুলীনদিগের আট ঘরে পরস্পর আদান প্রদান প্রচলিত ছিল। ইহাকে সর্ব্বদ্বারী বিবাহ কহিত। তৎকালে আদান প্রদানের কিছুমাত্র অসুবিধা ছিল না। এক ব্যক্তির অকারণে একাধিক বিবাহ করিবার আবশ্যকতা ঘটিত না, এবং কোনও কুলীনকন্যাকে যাবজ্জীবন অবিবাহিত অবস্থায় কালযাপন করিতে হইত না। এক্ষণে, অল্প ঘরে মেল বদ্ধ হওয়াতে, কাল্পনিককুলরক্ষার্থে, এক পাত্রে অনেক কন্যাদান অপরিহার্য্য হইয়া উঠিল। এই রূপে, দেবীবরের কুলীনদিগের মধ্যে বহু বিবাহের সূত্রপাত হইল।

 অবিবাহিত অবস্থায় কন্যার ঋতুদর্শন শাস্ত্রানুসারে ঘোরতরপাতক- জনক। কাশ্যপ কহিয়াছেন,

পিতুর্গেহে চ য়া কন্যা রজঃ পশ্যত্যসংস্কৃতা।
ভ্রূণহত্যা পিতুস্তস্যাঃ সা কন্যা বৃষলী স্মৃতা॥
যস্তু তাং বরয়েৎ কন্যাং ব্রাহ্মণো জ্ঞানদুর্বলঃ।
অশ্রাদ্ধেয়মপাংক্তেয়ং তং বিদ্যাদ্বৃযলীপতিম্॥(২৮)[১]

যে কন্যা বিবাহিত অবস্থায় পিতৃগৃহে রিজস্বলা হয়, তাহার  তাহার পিতা ভ্রূণহত্যাপাপে লিপ্ত হন। সেই কন্যাকে বৃষলী বলে। যে জ্ঞানহীন ব্রাহ্মণ সেই কন্যার পাণিগ্রহণ করে, সে অশ্রাদ্ধেও[২], অপাংক্তেয়[৩] ও বৃষলীপতি।

যম কহিয়াছেন।

মত চৈব পিতা চৈব জ্যেষ্ঠো ভ্রাতা তথৈব চ।
ত্রয়ন্তে নরকং যান্তি দৃষ্ট্বা কন্যাং রজস্বলাম্॥ ২৩॥


  1. উদ্বাতত্বধৃত।
  2. যাহাকে শ্রাদ্ধে নিমন্ত্রণ করিয়া ভোজন করাইলে শ্রাদ্ধ পণ্ড হয়।
  3. যাহার সহিত এক পংক্তিতে বসিয়া ভোজন করিতে নাই।