পাতা:বহুবিবাহ.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বহুবিবাহ।
৩৩

ভিপ্রায়ে কৌলীন্যমর্য্যাদা সংস্থাপন করেন। তৎপরে, কুলীনদিগের মধ্যে বিশৃঙ্খলা উপস্থিত দেখিয়া, দেবীবর তন্নিবারণাশয়ে মেলবন্ধন করেন। এক্ষণে, কুলীনদিগের মধ্যে যে অশেষবিধ বিশৃঙ্খলা উপস্থিত হইয়াছে, কুলাভিমান পরিত্যাগ ভিন্ন তন্নিবারণের আর সদুপায় নাই। যদি তাঁহারা সুবোষ, ধর্ম্মভীরু ও আত্মমঙ্গলাকাঙক্ষী হন, অকিঞ্চিৎকর কুলাভিমানে বিসর্জ্জন দিয়া, কুলীননামের কলঙ্ক বিমোচন করুন। আর, যদি তাঁহারা কুলাভিমান পরিত্যাগ নিতান্ত অসাধ্য বা একান্ত অবিধেয় বোধ করেন, তবে তাঁহাদের পক্ষে কোনও নূতন ব্যবস্থা অবলম্বন করা আবশ্যক। এ অবস্থায়, বোধ হয়, পুনরায় সর্ব্বদ্বারী বিবাহ প্রচলিত হওয়া ভিন্ন, কুলীনদিগের পরিত্রাণের পথ নাই। এই পথ অবলম্বন করিলে, কোনও কুলীনের অকারণে একাধিক বিবাহের আবশ্যকতা থাকিবে না; কোনও কুলীনকন্যাকে, যাবজ্জীবন বা দীর্ঘ কাল অবিবাহিত অবস্থায় থাকিয়া, পিতাকে নরকগামী করিতে হইবেক না; এবং রাজনিয়ম দ্বারা বহুবিবাহ প্রথা নিবারিত হইলে, কোনও ক্ষতি বা অসুবিধা ঘটিবেক না। এ বিষয়ে কুলীনদিগের ও কুলীনপক্ষপাতী মহাশয়দিগের যত্ন ও মনোযোগ করা কর্ত্তব্য। অনিষ্টকর, অধর্ম্মকর কুলাভিমানের রক্ষাবিষয়ে, অন্ধ ও অবোধেদের ন্যায়, সহায়তা করা অপেক্ষা, যে সকল দোষ বশতঃ কুলীনদিগের ধর্ম্মলোপ ও যার পর নাই অনিষ্টসংঘটন হইতেছে, সেই সমস্ত দোষের সংশোধনপক্ষে যত্নবান্ হইলে, কুলীনপক্ষপাতী মহাশয়দিগের বুদ্ধি, বিবেচনা ও ধর্ম্মের অনুযায়ী কর্ম্ম করা হইবেক।

 ইদানীন্তন কুলাভিমানী মহাপুরুষেরা কুলীন বলিয়া অভিমান করিতেছেন, এবং দেশস্থ লোকের পুজনীয় হইতেছেন। যদি তদীয় চরিত্র বিশুদ্ধ ও ধর্ম্মমার্গানুযায়ী হইত, তবে তাহাতে কেহ কোনও ক্ষতিবোধ বা আপত্তি উত্থাপন করিত না। কিন্তু তাঁহাদের আচরণ, যার পর নাই, জঘন্য ও ঘৃণাস্পদ হইয়া উঠিয়াছে। তাঁহাদের