পাতা:বহুবিবাহ.pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বহুবিবাহ।
৪৭

অপরাহ্নকালে, ভট্টরাজ ঐ ব্যক্তির নিকটে আসিয়া বলিলেন, তাহাদিগকে বাটীতে রাখা পরামর্শ স্থির; কিন্তু, তোমায়, মাস মাস তাহাদের হিসাবে আর কিছু দিতে হইবেক। ঐ ব্যক্তি তৎক্ষণাৎ স্বীকার করিলেন, এবং তিন মাসের দেয় তাঁহার হস্তে দিয়া কহিলেন, এই রূপে তিন তিন মাসের টাকা আগামী দিব; এতদ্ভিন্ন, তাঁহাদের পরিধেয় বস্ত্রের ভার আমার উপর রহিল। আর কোনও ওজর করিতে না পারিয়া, নিরুপায় হইয়া, ভট্টরাজ, স্ত্রী ও কন্যা লইয়া গৃহ প্রতিগমন করিলেন। তিনি নিজে দুঃশীল লোক নহেন। কিন্তু, তাঁহার ভগিনী দুর্দ্দান্ত দস্যু, তাহার ভয়ে ও তাহার পরামর্শে, তিনি স্ত্রী ও কন্যাকে পূর্ব্বোক্ত নির্ঘাত জবাব দিয়াছিলেন। বৃত্তিদাতা ক্রুদ্ধ হইয়াছেন, এবং মাসিক আর কিছু দিবার অঙ্গীকার করিয়াছেন, এই কথা শুনিয়া, ভগিনীও অগত্যা সম্মত হইল। ভট্টরাজ, কখনও কখনও কোনও স্ত্রীকে আনিয়া নিকটে রাখিবার অভিপ্রায় প্রকাশ করিলে, ভগিনী খড়্গহস্ত হইয়া উঠিত। সেই কারণে, তিনি, কখনও, আপন অভিপ্রায় সম্পন্ন করিতে পারেন নাই। ভঙ্গকুলীনদিগের ভগিনী, ভাগিনেয় ও ভাগিনেয়ীরা পরিবারস্থানে পরিগণিত; স্ত্রী, পুত্র, কন্যা প্রভৃতির সহিত তাঁহাদের কোনও সংস্রব থাকে না।

 যাহা হউক, ঐ ব্যক্তি, পূর্ব্বোক্ত ব্যবস্থা করিয়া দিয়া, স্থানান্তরে গেলেন, এবং যথাকালে অঙ্গীকৃত মাসিক দেয় পাঠাইতে লাগিলেন। কিছু দিন পরে, বাটীতে, গিয়া, তিনি সেই দুই হতভাগা নারীর বিষয়ে অনুসন্ধান করিয়া জার্নিলেন, ভট্টরাজ ও তাঁহার ভগিনী স্থির করিয়াছিলেন, বৃত্তিদাতার অঙ্গীকৃত নূতন মাসিক দেয় পুরাতন মাসিক বৃত্তির অন্তর্গত হইয়াছে, আর তাহা কোনও কারণে রহিত হইবার নহে; অনুসারে, ভট্টরাজ, ভগিনীর উপদেশের বশবর্ত্তী হইয়া, স্ত্রী ও কন্যাকে বাটী হইতে বহিষ্কৃত করিয়া দিয়াছেন। তাঁহারাও,