পাতা:বহুবিবাহ.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭০
বহুবিবাহ।

ক্রয়ক্রীতা তু যা নারী ন সা পত্ন্যভিধীয়তে।
ন সা দৈবে ন সা পৈত্র্যে দাসীং তাং কবয়ো বিদুঃ।[১]

ক্রয় করিয়া যে নারীকে বিবাহ করে, তাহাকে পত্নী বলে না; সে দেবকার্য্যে ও পিতৃকার্য্যে বিবাহকর্ত্তার সহধর্ম্মচারিণী হইতে পারে না; পণ্ডিতেরা তাহাকে দাসী বলিয়া গণনা করেন।

বৈকুণ্ঠবাসী হরিশর্ম্মার প্রতি ব্রহ্মা কহিয়াছেন,

যঃ কন্যাবিক্রয়ং মূঢ়ো লোভাচ্চ কুরুতে দ্বিজ।
স গচ্ছেন্নরকং ঘোরং পুরীষহ্রদসংজ্ঞকম্।
বিক্রীতায়াশ্চ কন্যায়া যঃ পুত্রো জায়তে দ্বিজ।
স চাণ্ডাল ইতি জ্ঞেয়ঃ সর্ব্বধর্ম্মবহিষ্কৃতঃ।[২]

হে দ্বিজ, যে মূঢ় লোভবশতঃ কন্যাবিক্রয় করে, সেপুরীষহ্রদ নামক ঘোর নরকে যায়। হে দ্বিজ, বিক্রীতা কন্যার যে পুত্র জন্মে, সে চণ্ডাল, তাহার কোনও ধর্ম্মে অধিকার নাই।

 দেখ! কন্যাক্রয় করিয়া বিবাহকরা শাস্ত্রানুসারে কত দুষ্য। শাস্ত্রকারেরা তাদৃশ স্ত্রীকে পত্নী বলিয়া, ও তাদৃশ স্ত্রীর গর্ভজাত সন্তানকে পুত্র বলিয়া, অঙ্গীকার করেন না; তাঁহাদের মতে তাদৃশ স্ত্রী দাসী; তাদৃশ পুত্র সর্ব্বধর্ম্মবহিষ্কৃত চণ্ডাল। সস্ত্রীক হইয়া ধর্ম্মকার্য্যের অনুষ্ঠান করিতে হয়। কিন্তু, শাস্ত্রানুসারে তাদৃশ স্ত্রী ধর্ম্মকার্য্যে স্বামীর সহচারিণী হইতে পারে না। পিণ্ডপ্রত্যাশায় লোকে পুত্রপ্রার্থনা করে। কিন্তু, শাস্ত্রানুসারে তাদৃশ পুত্র পিতার পিণ্ডদানে অধিকারী নহে। আর, যে ব্যক্তি অর্থলোভে কন্যাবিক্রয় করে, সে চিরকালের জন্য নরকগামী হয়।


  1. দত্তকমীমাংসাধৃত।
  2. ক্রিয়াযোগসার। উনবিংশ অধ্যায়।