পাতা:বহুবিবাহ.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৬
বহুবিবাহ।

সম্পূর্ণ সার্থকতা হইবেক। তিনি, প্রজার দুঃখদর্শনে দয়ার্দ্রচিত্ত ও স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া, এই মহাকার্য্য সম্পন্ন করিয়াছিলেন। এক্ষণেও আমরা সেই ইঙ্গরেজজাতির অধিকারে বাস করিতেছি; কিন্তু অবস্থার কত পরিবর্ত্ত হইয়াছে। যে ইঙ্গৱেজজাতি স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া, রাজ্য- ভ্রংশভয় অগ্রাহ্য করিয়া, প্রজার দুঃখ বিমোচন করিয়াছেন। এক্ষণে স্বতঃপ্রবৃত্ত হওয়া দূরে থাকুক, প্রজারা বারংবার প্রার্থনা করিয়াও কৃতকার্য্য হইতে পারে না। হায়!

"তে কেহ পি দিবসা গতাঃ”।
সে এক দিন গিয়াছে।

 যাহা হউক, আবেদনকারীদের অভিমত ব্যবস্থা বিধিবদ্ধ করিলে, গবর্ণমেণ্ট এতদ্দেশীয় মুসলমান বা অন্যান্য প্রদেশীয় হিন্দু মুসলমান উভয়বিধ প্রজাবর্গের নিকট অপরাধী হইবেন, অথবা তাহারা অসন্তুষ্ট হইবেক, এই ভয়ে অভিভূত হইয়া প্রার্থিত বিষয়ে বৈমুখ অবলম্বন করিবেন, এ কথা কোনও মতে শ্রদ্ধেয় হইতে পারে না। ইঙ্গরেজজাতি তত নির্ব্বোধ, তত অপদার্থ ও তত কাপুরুষ নহেন। যেরূপ শুনিতে পাই, তাঁহারা রাজ্যভোগের লোভে আকৃষ্ট হইয়া, এ দেশে অধিকার বিস্তার করেন নাই; সর্ব্বাংশে এ দেশের শ্রীবৃদ্ধিসাধনই তাঁহাদের রাজ্যাধিকারের একমাত্র উদ্দেশ্য।

 এ স্থলে, একটি কুলীমহিলার আক্ষেপোক্তির উল্লেখ না করিয়া, ক্ষান্ত থাকিতে পারিলাম না। ঐ কুলীনমহিলা ও তাঁহার কনিষ্ঠা ভগিনীর সহিত সাক্ষাৎ হইলে, জ্যেষ্ঠা জিজ্ঞাসা করিলেন, আবার না কি বহুবিবাহনিবারণের চেষ্টা হইতেছে। আমি কহিলাম, কেবল চেষ্টা নয়, যদি তোমাদের কপালের জোর থাকে, আমরা এ বারে কত কার্য্য হইতে পারি। তিনি কহিলেন, যদি আর কোনও জোর না থাকে, তবে তোমরা কৃতকার্য্য হইতে পারিবে না; কুলীনের মেয়ের নিতান্ত পোড়া কপাল; সেই পোড়া কপালের জোরে গত হবে, তা