পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯৮
বহুবিবাহ।

 অগ্নিশিষ্টদিশুশ্রূষাং বহুভার্য্যঃ সবর্ণয়া।
 কারয়েত্তদ্বহুত্বং চেজ্জ্যেষ্ঠয়া গাৰ্হিতা ন চেৎ (১০)॥

 যাহার অনেক ভার্য্যা থাকে, সে ব্যক্তি অগ্নিশুশ্রূষা অর্থাৎ অগ্নি-
 হোত্রাদি যজ্ঞানুষ্ঠান ও শিষ্টশুশ্রূষা অর্থাৎ অতিথি অভ্যাগত প্রভৃতির
 পরিচর্য্য সবর্ণা স্ত্রী সমভিব্যাহারে সম্পন্ন করিবেক; আর, যদি সবর্ণা
 বহু ভার্য্যা থাকে, জ্যেষ্ঠা সমভিব্যাহারে সম্পন্ন করবেক, যদি সে
 ধর্ম্মকার্য্যে অযোগ্যতাপ্রতিপাদক দোষে আক্রান্ত না হয়।

এই রূপে, যে যে স্থলে বহুভার্য্যাবিবাহের উল্লেখ দৃষ্ট হইবেক, পূর্ব্ব- পরিণীতা স্ত্রীর বন্ধ্যাত্ব প্রভৃতি নিমিত্ত অথবা উৎকট রতিকামনা ঐ বহুভার্য্যবিবাহের নিদান বলিয়া বুঝিতে হইবেক। বস্তুতঃ, যখন পুর্ব্বপরিণীতা স্ত্রীর বন্ধ্যাত্ব প্রভৃতি নিমিত্ত ঘটিলে, তাহার জীবদ্দশায় পুনরায় সবর্ণা বিবাহের বিধি দৃষ্ট হইতেছে; যখন তাদৃশ নিমিত্ত না ঘটিলে, সবর্ণা বিবাহের স্পষ্ট নিষেধ লক্ষিত হইতেছে; এবং যখন উৎকট রতিকামনার বশবর্ত্তী হইয়া, পূর্ব্বপরিণীতা স্ত্রীর জীবদ্দশায় পুনরায় বিবাহ করিতে উদ্যত হইলে, কেবল অসবর্ণা বিবাহের বিধি প্রদত্ত হইয়াছে, তখন যদৃচ্ছাক্রমে যত ইচ্ছা সবর্ণা বিবাহ করা শাস্ত্র- কারদিগের অনুমোদিত কার্য্য, ইহা প্রতিপন্ন হওয়া অসম্ভব। অতএব, “ইচ্ছার নিরামক নাই, যত ইচ্ছা বিবাহ করা উচিত, তর্ক- বাচস্পতি মহাশয়ের এই সিদ্ধান্ত কত দুর শাস্ত্রানুমত বা ন্যায়ানুগত, তাহা সকলে বিবেচনা করিয়া দেখিবেন। তদীয় সিদ্ধান্ত অনুসারে, বিবাহ করা পুরুষের সম্পূর্ণ ইচ্ছাধীন; অর্থাৎ ইচ্ছা হয় বিবাহ কৱিৰেক, ইচ্ছা না হয় বিবাহ করিবেক না; অথবা যত ইচ্ছা বিবাহ করিবেক। কিন্তু, পূর্ব্বে প্রতিপাদিত হইয়াছে, চতুর্বিষ বিবাহের মধ্যে নিত্য, নৈমিত্তিক, নিত্যনৈমিত্তিক এই ত্রিবিধ বিবাহ পুরুষের ইচ্ছাধীন নহে; শাস্ত্রকাৱেরা অবশ্যকর্ত্তব্য বলিয়া তৎ


  1. বিধানপারিজাতধৃত কাত্যায়নৰচন।