ভার্য্যাশব্দের বহুবচনে প্রয়োগ দেখিয়া, ইচ্ছাধীন বহু সবর্ণা বিবাহ সম্পূর্ণ শাস্ত্রসিন্ধ ব্যবহার ও উচিত কর্ম্ম বলিয়া ব্যবস্থা প্রচার করিয়াছেন।
অতঃপর, তর্কবাচম্পতি মহাশয়, যদৃচ্ছাপ্রবৃত্ত বহু বিবাহের প্রামাণ্য সংস্থাপনার্থে, যে সকল প্রমাণ প্রদৰ্শন করিয়াছেন, তৎসমুদয় ক্রমে উল্লিখিত ও আলোচিত হইতেছে।
“তন্মাদেকো বহ্বীৰ্বিন্দতে ইতি শ্রুতিঃ,
তন্মাদেকস্য বহ্ব্যো জায়া ভবন্তি নৈকস্যৈ বহবঃ
সহ পতয়ঃ ইতি শ্রুতিঃ,
ভার্য্যাঃ কার্য্যাঃ সজাতীয়াঃ সর্ব্বেষাং শ্রেয়স্যঃ স্যুরিতি
“দায়ভাগধৃতপৈঠীনসিস্মৃতিশ্চ বিবাহক্রিয়াকর্ম্মগতসংখ্যাবিশেষ
বহুত্বং খ্যাপয়ন্তী একস্যানেকৰিবাহং প্রতিপাদয়তি (১১)।”
“অতএব এক ব্যক্তি বহু ভার্য্য বিবাহ করতে পারে।”
শ্রুতি, “অতএব এক ব্যক্তির বহু ভার্য্যা হইতে পারে, এক স্ত্রীর সহ
অর্থৎ এক সঙ্গে বহু পতি হইতে পারে না।” এই শ্রুতি, এবং
“স্বজাতীয় ভার্য্যা সকলের পক্ষে মুখ্য কল্প। দায়ভাগধৃত এই
পৈঠীনসিস্মৃতি দ্বারা (১২)[২] বিবাক্রিয়ার কর্ম্মভূত ভার্য্যা প্রভৃতি পদে
বহুবচনসদ্ভাব বশতঃ, এক ব্যক্তির অনেক বিবাহ প্রতিপন্ন হইতেছে"।
এ বিষয়ে বক্তব্য এই যে, এক ব্যক্তির অনেক বিবাহ হইতে পারে, ইহা কেহই অস্বীকার করেন না। পূর্ব্বে দর্শিত হইয়াছে, স্ত্রীর বন্ধ্যাত্ব প্রভৃতি নিমিত্ত বশতঃ, এক ব্যক্তির বহু সবর্ণা বিবাহ সম্ভব;