আর, উৎকট রতিকামনা পূর্ণ করিবার নিমিত্ত, পুরুষ পুর্ব্বপরিণীতা সবর্ণা ভার্য্যার জীবদ্দশায়, তদীয় সম্মতি ক্রমে, অসবর্ণা ভার্য্যা বিবাহ করিতে পারে; ইহা দ্বারাও এক ব্যক্তির বহুভার্য্যাবিবাহ সম্ভব। অতএব, তর্কবাচস্পতি মহাশয়ের অবলম্বিত বেদবাক্যদ্বয়ে যে বহু বিবাহের উল্লেখ আছে, তাহা ধর্ম্মশান্ত্রোক্ত বন্ধ্যাত্বপ্রভৃতি- নিমিনিবন্ধন, অথবা উৎকটরভিকামনামূলক, তাহার কোনও সংশয় নাই। উল্লিখিত বেদবাক্যদ্বয়ে সামান্যাকারে এক ব্যক্তির বহুভার্য্যাপরিগ্রহ সম্ভব, এতন্মাত্র নির্দ্দেশ আছে। কিন্তু ধর্ম্মশাস্ত্র- প্রবর্ত্তক ঋষিরা, নিমিত্ত নির্দ্দেশ পূর্ব্বক, এক ব্যক্তির বহুভার্য্যা পরিগ্রহের বিধিপ্রদান করিয়াছেন। অতএব, বেদবাক্যনির্দিষ্ট বহুভার্য্যাপরিগ্রহ ও ঋষিবাক্যব্যবস্থাপিত বহুভার্য্যাপরিগ্রহ এক- বিষয়ক; বেদে এক ব্যক্তির বহুভার্য্যাপরিগ্রহের যে উল্লেখ আছে, ধর্ম্মশাস্ত্রে পূর্ব্বপরিণীতা স্ত্রীর বন্ধ্যাত্ব প্রভৃতি নিমিত্ত নির্দেশ পূর্ব্বক, ঐ বহুভার্য্যাপরিগ্রহের স্থল সকল ব্যবস্থাপিত হইয়াছে। বেদবাক্যের এই তাৎপর্য্যব্যাখ্যা কেবল আমার কপালকল্পিত অথবা লোক- বিমোহনার্থে বুদ্ধিবলে উদ্ভাবিত অভিনব তাৎপর্য্যব্যাখ্যা নহে। পূর্ব্বতন গ্রন্থকার এই দুই বেদবাক্যের উক্তবিধ তাৎপর্য্যব্যাখ্যা করিয়া গিয়াছেন। যথা,
“অথাধিবেদনম্। তদুক্তমৈতবেয়ব্রাহ্মণে
তস্যাদেক বহ্ব্যো জায়া ভবন্তি নৈকস্যৈ বহবঃ সহ
পতয় ইতি।
সহশব্দসামর্থ্যাৎ ক্রমেণ পত্যন্তরং ভবতীতি গম্যতে অতএব
নষ্টে মৃতে প্রব্রজিতে ক্লীবে চ পতিতে পতৌ।
পঞ্চস্বাপৎসু নারীণাং পতিরন্যো বিধীয়তে॥
ইতি মনুনা স্ত্রীণামপি পত্যস্তরং স্মর্য্যতে। শ্রুত্যন্তরমপি