পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বহুবিবাহ।
১০৫

 পারে"। বেদান্তরেও উক্ত হইয়াছে, “অতএব এক ব্যক্তির বহু
 ভার্য্যা হইতে পারে; এক স্ত্রীর সহ অর্থাৎ এক সঙ্গে বহু পতি
 হইতে পারে না। এ বিষয়ে অপিস্তম্ব কহিয়াছেন, “যে স্ত্রীর
 সহযোগে ধর্ম্মকার্ষ্য ও পুত্রলাভ সম্পন্ন হয়, তৎসত্ত্বে অন্য স্ত্রী
 বিবাহ করিবেক না। ধর্ম্মকার্য্য অথবা পুত্রলাভ সম্পন্ন না হইলে,
 অগ্ন্যধানের পূর্ব্বে পুনরায় বিবাহ কৰিৰেক”। “ত্রিবিধ ঋণে
 ঋণগ্রস্ত হয়", “অপুত্র ব্যক্তির সদ্গতি হয় না”, এই দুই বেদবাক্য
 তাহার প্রমাণ। স্মৃতিতেও উক্ত হইয়াছে। “প্রথম পরিণীতা স্ত্রীতে
 পুত্র না জন্মিলে পুনরায় বিবাহ করিবেক; তাহাতেও পুত্র না
 জন্মিলে পুনরায় বিবাহ করিবেক; এই রূপে, যাবৎ পুত্রলাভ না হয়,
 তাবৎ বিবাহ করিবেক; আর এই অবস্থায় যদি বৈরাগ্য জন্মে,
 বনগমন অথবা সন্ন্যাস অবলম্বন করিবেক। যাজ্ঞবল্ক্য কহিয়াছেন,
 “যদি স্ত্রী সুরাপায়িণী, চিররোগিণী, ব্যভিচারিণী, বন্ধ্যা,
 অর্থনাশিনী, অপ্রিয়বাদিনী, কন্যামাত্রপ্রসবিনী, ও পতিদ্বেষিণী হয়,
 তৎসত্ত্বে অধিবেদন অর্থাৎ পুনরায় দারপরিগ্রই করিবেক।

এক্ষণে, সকলে বিবেচনা করিয়া দেখুন, তর্কবাচস্পতি মহাশয়ের অবলম্বিত বেদবাক্যদ্বয়ে যে বহুভার্য্যাপরিগ্রহের নির্দ্দেশ আছে, মিত্র- মিশ্রের ন্যায়, অনন্তভট্টের মতেও ঐ বহুভার্য্যাপরিগ্রহ অধিবেদনের নির্দিষ্টনিমিত্তর্নিবন্ধন হইতেছে কি না।

 কিঞ্চ,

 “তন্মাদেকস্য বহ্বো জায় তবন্তি নৈকস্যৈ বহবঃ
 সহ পতয়ঃ”।

 অতএব এক ব্যক্তির বহু ভার্য্যা হইতে পারে, এক স্ত্রীর সহ
 অর্থাৎ এক সঙ্গে বহু পতি হইতে পারে না।

এই বেদাংশ যে উপাখ্যানের উপসংহারস্বরূপ, তাহা সমগ্র উদ্ধৃত হইতেছে; তদ্দৃষ্টে, বোধ করি, তর্কবাচস্পতি মহাশয়ের বিতণ্ডাপ্রবৃত্তি নিবৃত্ত হইতে পারে।

 “ঋক্‌ চ বা ইদমগ্রে সাম চাস্তাম্। সৈব নাম ঋগাসীৎ
 অমো নাম সাম। সা বা ঋক্ সামোপাবদৎ মিথুনং