পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বহুবিবাহ।
১০৯

সর্ব্বশব্দে যেরূপ বহুবচন আছে, সেইরূপ তিন বর্ণের স্ত্রী বুঝাইবার অভিপ্রায়ে, ভার্য্যাশব্দেও বহুবচন প্রযুক্ত হইয়াছে।

 উদ্বহেত দ্বিজো ভার্য্যাং সবর্ণাং লক্ষণান্বিতাম্।৩। ৪।

 দ্বিজ অর্থাৎ ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য সুলক্ষণা সবর্ণা ভার্য্যা বিবাহ করিবেক।

এই মনুবচনে দ্বিজ ও ভার্য্যা শব্দে একবচন থাকাতে, যেরূপ অর্থের প্রীতীতি হইতেছে;

 “উদ্বহেরন্ দ্বিজা ভার্য্যা সবর্ণা লক্ষণান্বিতাঃ।”

প্রদর্শিত প্রকারে, মনুবচনে দ্বিজ ও ভার্য্যা শব্দে বহুবচন থাকিলেও, অবিকল সেইরূপ অর্থের প্রতীতি হইত, তাহার কোনও সংশয় নাই। সমান ন্যায়ে,

 ভার্য্যাঃ সজাতীয়াঃ সর্ব্বেষাং শ্রেয়স্যঃ স্যুঃ।

 সজাতীয়া ভার্য্যা সকলের পক্ষে মুখ্য কল্প।

এই পৈঠীনসিবচনে ভার্য্যা ও সর্ব্ব শব্দে বহুবচন থাকাতে, যেরূপ অর্থের প্রতীতি হইতেছে;

 ভার্য্যা জাতীয় সর্ব্বস্য শ্রেয়সী স্যাৎ।

প্রদর্শিত প্রকারে, পৈঠীনসিবচনে ভার্য্যা ও সর্ব্ব শব্দে একবচন থাকিলেও, অবিকল সেইরূপ অর্থের প্রতীতি হইত, তাহারও কোনও সংশয় নাই। সংস্কৃত ভাষায় যাঁহাদের বিশিষ্টরূপ বোধ ও অধিকার আছে, তাদৃশ ব্যক্তিমাত্রেই এইরূপ বুঝিয়া থাকেন। তর্কবাচস্পতি মহাশয়, মহাপণ্ডিত বলিয়া, নবীন পন্থা অবলম্বন করিয়াছেন। মহা- পণ্ডিত মহদয়ের প্রবোদার্থে, এ স্থলে ইহাও উল্লেখ করা আবশ্যক, এই মীমাংসা আমার কপোলকম্পিত অথবা লোকবিমোহনার্থে