পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বহুবিবাহ।
১১১

যদি বীরমিত্রোদয়ে পৈঠীনসিবচন উদ্ধৃত হইত, তাহা হইলে মিত্রমিশ্র ঐ বচনের যমবচনের তুল্যরূপ ব্যাখ্যা করিতেন, তাহার কোনও সংশয় নাই। ফলকথা এই, এরূপ স্থলে একবচন ও বহুবচনের অর্থগত কোনও বৈলক্ষণ্য নাই, উভয়ই এক অর্থ প্রতিপন্ন করিয়া থাকে।

 সবর্ণাগ্রে দ্বিজাতীনাং প্রশস্তা দারকর্ম্মণি। ৩।১২।

 দ্বিজাতিদিগের প্রথম বিবাহে সবর্ণা বিহিতা।

এই মনুবচন, যমবচন ও পৈঠীনসিবচনের তুল্যার্থক; কিন্তু ঐ দুই ঋষিবাক্যে ভার্য্যাশব্দে যেমন বহুবচন আছে, মনুবাক্যে সবর্ণাশব্দে সেরূপ বহুবচন না খাকিয়া একবচন আছে; অথচ তিন ঋষিবাক্যে এক অর্থই প্রতীয়মান হইতেছে। ইহা দ্বারাও নিঃসংশয়ে প্রতিপন্ন হইতেছে, ঈদৃশ স্থলে একবচন ও বহুবচনের অর্থগত কোনও বৈলক্ষণ্য নাই। আর, ইহাও দেখিতে পাওয়া যায়, পূর্ব্ববর্ত্তী ঋষিবাক্যে যে শব্দ বহুবচনে, প্রযুক্ত হইয়াছে, তৎপরবর্ত্তী ঋষিবাক্যে সেই শব্দেই একবচন প্রযুক্ত হইয়াছে, অথচ উভয় স্থলেই এক অর্থ প্রতিপন্ন হইতেছে, বিভক্তির বচনভেদনিবন্ধন অর্থগত কোনও বৈলক্ষণ্য ঘটিতেছে না। যথা

 যদি স্বাশ্চাবরাশ্চৈব বিন্দেরন্ যোযিত দ্বিজাঃ।
 তাসাং বর্ণক্রমেণৈব জ্যৈষ্ঠ্যং পূজা চ বেশ্ম চ॥ ৯। ৮৫(১৮)

 যদি দ্বিজেরা স্বা অর্থাৎ সজাতি স্ত্রী এবং অধরা অর্থাৎ
 অন্যজাতি স্ত্রী{ বিবাহ করে, তাহা হইলে বর্ণক্রমে সেই সকল স্ত্রীর
 জ্যেষ্ঠতা, সম্মান ও বাসগৃহ হইবেক।

 “ভর্‌ত্তুঃ শরীরশুশ্রূষাং ধর্ম্মকার্যঞ্চ নৈত্যকম্।
 স্বা চৈব কুর্য্যাৎসর্ব্বেষাং নান্যজাতিঃ কথঞ্চন॥৯।৮৬।(১৮)

[১]


 স্বামীর শরীরপরিচর্য্যা ও নিত্য ধর্ম্মকার্য্য দ্বিজাতিদিগের স্বা  অর্থাৎ সজাতি স্ত্রীই করিবে, অন্যজাতি কদাচ করিবে না।

  1. (১৮) মনুসংহিতা