পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১৪
বহুবিবাহ।

কি প্রণালী অবলম্বন করিয়া, এই বিরোধের সমাধা করা যাইবেক; মনুবিরুদ্ধ স্মৃতি গ্রাহ্য নহে, এই পথ অবলম্বন করিয়া পৈঠীনসিস্মৃতি অগ্রাহ্য করা যাইবেক; কিংবা মনু অপেক্ষা পৈঠীনসির প্রাধান্য স্বীকার করিয়া, মনুস্মৃতি অগ্রাম্ভ করা যাইবেক; অথবা মনু ও পৈঠনসি উভয়ই তুল্য, তুল্যবল শাস্ত্রদ্বয়ের বিরোধস্থলে বিকল্প পক্ষ অবলম্বিত হইয়া থাকে; এই পথ অবলম্বন করিয়া, বিকল্পব্যবস্থার অনুসরণ করা হইবেক; অথবা অন্যান্ত মুনিবাক্যের সহিত একবাক্যতাসম্পাদন করিয়া, ব্যবস্থা করা যাইবেক। বিবাহবিষয়ক শাস্ত্রসমূহের অবিরোধ সম্পাদিত হইলে যে ব্যবস্থা স্থিরীকৃত হয়, তাহা এই পরিচ্ছেদের প্রথম ভাগে প্রদর্শিত হইয়াছে; এলে আর তাহার উল্লেখ করিবার প্রয়োজন নাই।

 তর্কবাচস্পতি মহাশয় যদৃচ্ছাপ্রবৃত্ত বহুবিবাহের যে প্রমাণান্তর প্রদর্শন করিয়াছেন, তাহা উদ্ধৃত ও আলোচিত হইতেছে। তিনি লিখিয়াছেন,

 “চতস্রো ব্রাক্ষণস্য তিস্রো রাজন্যস্য দ্বে বৈশ্যস্যেতি পৈঠীনসিবচনস্য তাৎপার্য্যাদ্যোতনার্থং দয়িভাগতক্নতা জাত্যবচ্ছেদেনেত্যুক্তম্ চতুর্জাত্যবচ্ছিন্নতয়া বিবাহং ব্যবস্থাপয়তা চ তেন ঐকৈকবর্ণায় অপি পঞ্চাদিসংখ্যান বিরুদ্ধেতি দ্যোতিতং তচ্চ ইচ্ছায়া নিরঙ্কুশত্বেনৈৰ প্রাগুক্তবচনজাতেন বিবাহবহুত্ব প্রতিপাদনেন চ সুষ্ঠ ক্তমিত্যুৎপশ্যামঃ”(২০)[১]|

 “ব্রাহ্মণের চারি, ক্ষত্ত্রিয়ের তিন, বৈশ্যের দুই”, এই পৈঠীনসিবচনের তাৎপর্য ব্যক্ত করিবার নিমিত্ত, দায়ভাগকার “জাত্যবচ্ছেদেন” এই কথা বলিয়াছেন। চারি জাতিতে বিবাহ করিতে পারে, এই ব্যবস্থা করিয়া, প্রত্যেক বর্ণেও পাঁচ প্রভৃতি স্ত্রীবিবাহ দুব্য নয়, ইহা ব্যক্ত করিয়াছেন। ইচ্ছার নিয়ামক না থাকাতে এবং পূর্ব্বোক্ত বচন সমূহ দ্বারা বহু বিবাহ প্রতিপন্ন হওয়াতে,

_________________________________________________________________________________

  1. (২০) বহুবিবাহবাদ, ৩৬ পৃষ্ঠা।