পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বহুবিবাহ।
১১৭

চারি জাতিতে, ক্ষত্রিয় তিন জাতিতে, বৈশ্য দুই জাতিতে, শূদ্র এক জাতিতে বিবাহ করিতে পারে; আর, শূদ্রার চারি জাতিতে, বৈশ্যার তিন জাতিতে, ক্ষত্রিয়ার দুই জাতিতে, ব্রাহ্মণীর এক জাতিতে বিবাহ হইতে পারে। নারদবচনস্থিত চারি তিন প্রভৃতি সংখ্যাবাচক শব্দচতুষ্টয় জাতিপর বলিয়া ব্যাখ্যা করা নিতান্ত আবশ্যক; নতুবা, শূদ্রা প্রভৃতির চারি, তিন, দুই, এক জাতিতে বিবাহ হইতে পারে, এরূপ অর্থ প্রতিপন্ন না হইয়া, শূদ্রা প্রভৃতির চারি, তিন, দুই, এক পতি বিবাহরূপ অর্থ প্রতিপন্ন হইবেক, অর্থাৎ, শূদ্রার চারি পতিৱ সহিত, বৈশ্যার তিন পতির সহিত, ক্ষত্রিয়ায় দুই পতির সহিত, ব্রাহ্মণীর এক পতির সহিত বিবাহ হইতে পারিবেক। কিন্তু, সেরূপ অর্থ যে শাস্ত্রানুমত ও ন্যায়ানুগত নহে, ইহা বলা বাহুল্যমাত্র। যাহা হউক, দায়ভাগকার পৈঠীনসিবচনস্থিত চারি, তিন প্রভৃতি সংখ্যা- বাচক শব্দচতুষ্টয় জাতিপর বলিয়া ব্যাখ্যা করাতে, তর্কবাচস্পতি · মহাশয় যদৃচ্ছাক্রমে প্রত্যেক বর্ণেও পাঁচ প্রভৃতি স্ত্রী বিবাহ করা দুষ্য নয়, এই তাৎপর্য্যব্যাখ্যা করিয়াছেন। এক্ষণে, সর্ব্বাংশে সমান স্থুল বলিয়া, নারদবচনস্থিত চারি তিন প্রভৃতি সংখ্যাবাচক শব্দচতুষ্টয়ও জাতিপর বলিয়া অগত্যা ব্যাখ্যা করিতে হইতেছে; সুতরাং, সর্ব্বাংশে সমান স্থল বলিয়া, সর্ব্বশাস্ত্রবেত্তা তর্কচম্পতি মহাশয়, স্ত্রীলোকের পক্ষে যদৃচ্ছাক্রমে প্রত্যেক বর্ণে পাঁচ প্রভৃতি পতি বিবাহ করা দূষ্য নয়, এই তাৎপর্য্যব্যাখ্যা করিবেন, তাহার সন্দেহ নাই। তাঁহার ব্যবস্থা অনুসারে, অতঃপর স্ত্রীলোকে প্রত্যেক বর্ণে যদৃচ্ছাক্রমে যত ইচ্ছা বিবাহ করিতে পারিবে। বেদব্যাস কেবল দ্রৌপদীকে পাঁচটিমাত্র পতি বিবাহের অনুমতি দিয়াছিলেন। তর্কবাচস্পতি মহাশয় বেদব্যাস অপেক্ষা ক্ষমতাপন্ন। তিনি একবারে সর্ব্বসাধারণ স্ত্রীলোককে প্রত্যেক বর্ণে যদৃচ্ছাক্রমে যত ইচ্ছা পতি বিবাহ করিবার অনুমতি দিতেছেন। অতএব, তর্কবাচস্পতিমহাশয়সদৃশ ধর্ম্শাস্ত্র-