পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বহুবিবাহ।
১২১

 “যদি গৃহস্থ দুই ভার্ষ্যা বিবাহ করে কিরূপ করিবেকে,” এই
 আশঙ্কা করিয়া, যে কালে বিবাহ করিবেক দুই অগ্নির স্থাপন
 করিবেক, এইরূপ জরিত করিয়া, “দুই ভার্য্যার সহিত যজমান,
 বিধানপারিজাতধৃত এই বৌধায়নসূত্রে যুগপৎ ভার্ষ্যাদ্বয় ও তদুপযোগী
 অগ্নিদ্বয় বিহিত হইয়াছে; আর “দুই পত্নীয় সহিত,” এই
 কথা বলতে, অগ্নিদ্বয়ে যুগপৎ উভয়ের হোমাদিসম্বন্ধ প্রতীতি জন্মিতেছে,
 সুতরাং যুগপৎ বিবাহদ্বয় স্পষ্টই প্রতীয়মান হইতেছে।

সর্ব্বশাস্ত্রবেত্ত তর্কবাচস্পতি মহাশয় বৌধায়নসূত্রের অর্ধবোধ ও তাৎপর্য্যগ্রহ করিতে পারেন নাই; এজন্য, যুগপৎ বিবাহদ্বয় স্পষ্টই প্রতীয়মান হইতেছে, এরূপ অদ্ভুত সিদ্ধান্ত করিয়াছেন। তিনি, সমুদয় বৌধায়নসূত্র উদ্ধৃত না করিয়া, সূত্রের অন্তর্গত যে কয়টি কথা আপন অভিপ্রায়ের অনুকূল বোধ করিয়াছেন, সেই কয়টি কথামাত্র উদ্ধৃত করিয়াছেন। কিন্তু, যখন ধর্ম্মসংস্থাপনে প্রবৃত্ত হইয়াছেন, তখন এক সুত্রের অতি সামান্য অংশত্রয়মাত্র উন্নত করিয়া, সমুদয় সূত্র উদ্ধৃত করা উচিত ও আবশ্যক ছিল; তাহা হইলে, কেবল তদীয় আদেশের ও উপদেশের উপর নির্ভর না করিয়া, আবশ্যক বোধ হইলে, সকলে স্ব স্ব বুদ্ধি চালনা করিয়া, সূত্রের অর্থনির্ণয় ও তাৎপর্য্যগ্রহ করিতে পারিতেন। এস্থলে দুটি কৌশল অবলম্বিত হইয়াছে; প্রথম, সমুদয় সূত্র উদ্ধৃত না করিয়া, তদন্তর্গত কতিপয় শব্দমাত্র উদ্ধৃত করা; দ্বিতীয়, কেহ সমুদয় সূত্র দেখিয়া, সূত্রের অর্থবোধ ও তাৎপর্য্যনির্ণয় করিয়া, প্রকৃত বৃত্তান্ত জানিতে পারে, এজন্য যে গ্রন্থে এই সুত্র উদ্ধৃত হইয়াছে, তাহার নাম গোপন পূর্ব্বক গ্রন্থান্তরের নাম নির্দ্দেশ করা। তিনি লিখিয়াছেন,

 “ইতি বিধানপারিজাতধৃতবৌধায়নসূত্রেণ”।
 বিধানপারিজাতধৃত এই বৌধায়নসূত্রে।

কিন্তু, বিধানপারিজাতে এই বৌধায়নসূত্র উদ্ধৃত দৃষ্ট হইতেছে না।