পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বহুবিবাহ।
১৩৭

এক দিনে, এক মণ্ডপে, এক পাত্রের সহিত, ভগিনীদ্বয়ের বিবাহ নিষিদ্ধ হওয়াতে, বহুবিবাহপ্রিয় তর্কবাচস্পতি মহাশয়ের আশালতা ফলবতী হইবার কোনও সম্ভাবনা লক্ষিত হইতেছে না। যাহা হউক, বহুদর্শন নাই, বিবেকশক্তি নাই, প্রকরণজ্ঞান নাই; সুতরাং, বৌধায়নসূত্রের প্রকৃত অর্থ ও তাৎপর্য কি, সে বোধ নাই; এ অবস্থায়, “যদি দুই ভর্য্যা বিবাহ করে,” “দুই অগ্নির স্থাপন করিবেক”, “দুই ভার্য্যার সহিত সমবেত হইয়া আহুতি দিবেক”, ইত্যাদি স্থলে দুই এই সংখ্যাবাচক শব্দের প্রয়োগ দর্শনে মুগ্ধ হইয়া, এক ব্যক্তি এক বারে দুই ভার্য্যা বিবাহ করিতে পারে, এরূপ অপসিদ্ধান্ত অবলম্বন করা। নিতান্ত আশ্চর্যের বিষয় নহে।

 তর্কবাচস্পতি মহাশয়, যদৃচ্ছাপ্রবৃত্তবহুবিবাহব্যবহারের শাস্ত্রীয়তা প্রতিপাদনে প্রবৃত্ত হইয়া, এক ঋষিবাক্যের যেরূপ অদ্ভুত পাঠ ধরিয়াছেন ও অভূতপূর্ব্ব ব্যাখ্যা করিয়াছেন, তদ্দর্শনে স্পষ্ট প্রতীয়মান হইতেছে, তিনি, স্বীয় অভিপ্রেত সাধনের নিমিত্ত, নিরতিশয় ব্যগ্রচিত্ত হইয়া, একবারে বাহজ্ঞানশূন্য হইয়াছেন। ঐ পাঠ, ঐ ব্যাখ্যা ও তন্মূলক সিদ্ধান্ত সকল প্রদর্শন করিবার নিমিত্ত, তদীয় লিখন উদ্ধত হইতেছে।

 “ইদানীং ক্রমশো বহুবিবাহে কালবিশেষো নিমিত্তবিশেষশ্চাভিধীয়তে। তত্র মনুনা

 জায়ায়ৈ পূর্ব্বমারিণ্যৈ দত্ত্বাগ্রীনন্ত্যকর্ম্মণি।

 পুনর্দ্দারক্রিয়াং কুর্য্যাৎ পুনরাধানমেবচ॥

ইতি দারমরণরূপ একঃ কালঃ অভিহিতঃ। অত্র বিশেষয়তি বিধানপারিজাতধৃতবৌধায়নসূত্রম্

 ধর্ম্মপ্রজাসম্পন্নে দারে নান্যাং কুব্বীত

 অন্যতরাভাবে কার্য্যা প্রাগগ্ন্যাধেয়েতি

১৮