পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০
বহুবিবাহ।

থাকিব, জ্ঞানপূর্বক কখনও সেরূপ গর্হিত আচরণে দূষিত হইব না। সে যাই হউক, তর্কবাচস্পতি মহাশয়ের আরোপিত অপবাদবিমোচনার্থে, বিবাদাষ্পদীভূত মনুবচন সবিস্তর অর্থসমেত প্রদর্শিত হইতেছে।

সবর্ণাগ্রে দ্বিজাতীনাং প্রশস্তা দারকর্ম্মণি।
কামতন্তু প্রবৃত্তানামিমাঃ স্যুঃ ক্রমশো হবরাঃ। ৩।১২।

 দ্বিজাতীনাং ব্রাহ্মণক্ষত্রিয়বৈশানাম্ অগ্রে প্রথমে ধর্ম্মার্থে ইতি যাবৎ দারকর্ম্মণি পরিণয়বিধৌ সবর্ণা সঞ্জাতীয়া কন্যা প্রশস্তা বিহিতা; তু কিন্তু কামতঃ কামবশাৎ প্রবৃত্তানাং দারান্তরপরিগ্রহে উদ্যুক্তানাং দ্বিজাতীনাম ইমাঃ বক্ষ্যমাণাঃ অনন্তরবচনোক্তা ইতি যাবৎ অবরাঃ হীনবর্ণাঃ ক্ষত্রিয়াবৈশ্যাশূদ্রাঃ ক্রমেণ আনুলোম্যেন স্যুঃ ভার্য্যাঃ ভবেয়ুঃ।

 দ্বিজাতিদিগের অর্থাৎ ব্রাহ্মণ, ক্ষুত্রিয়, বৈশ্যের প্রথম অর্থাৎ ধর্মার্থ বিবাহে সবর্ণা অর্থাৎ বরের সজাতীয়া কন্যা প্রশস্তা অর্থাৎ বিহিতা; কিন্তু যাহারা কামতঃ অর্থাৎ কামবশতঃ বিবাহ করিতে প্রবৃত্ত হয়, বক্ষমাণা অবরা অর্থাৎ পরবচনোক্ত হীনবর্ণা ক্ষত্রিয়া, বৈশ্যা ও শূদ্রা অনুলোমক্রমে তাহাদের ভার্য্যা হইবেক।

প্রথম পুস্তকে এই বচনের অর্থ সংক্ষেপে লিখিত হইয়াছিল। কিন্তু সংক্ষেপনিবন্ধন ফলের কোনও বৈলক্ষণ্য ঘটে নাই, ইহা প্রদর্শন করিবার নিমিত্ত, ঐ অর্থ উদ্ধৃত হইতেছে। যথা,

 “দ্বিজাতির পক্ষে অগ্রে সবর্ণা বিবাহই বিহিত। কিন্তু যাহারা রতিকামনায় বিবাহ করিতে প্রবৃত্ত হয়, তাহারা অনুলোমক্রমে বর্ণান্তরে বিবাহ করিবেক।”

 সংস্কৃত ও বাঙ্গলা উভয় ভাষায় মনুবচনের অর্থ প্রদর্শিত হইল। এক্ষণে সকলে বিবেচনা করিয়া দেখুন, আমি শাস্ত্রের অর্থ গোপন অথবা শাস্ত্রের অযথা ব্যাখ্যা করিয়াছি কি না। অমর স্থির সংস্কার এই, যে সকল শব্দে ঐ বচন সঙ্কলিত হইয়াছে, প্রদর্শিত ব্যাখ্যায় তম্মধ্যে