পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫২
বহুবিবাহ।

তাহার প্রতিবন্ধক হইতে পরিবেক না। “যদি বিষয়বাসনা নিবৃত্তি না হয়, তবে তাহার ফললাভের নিমিত্ত বিবাহ করিবেক,” এই ব্যবস্থা করিয়া, তর্কবাচস্পতি মহাশয় স্বয়ং তাহা স্বীকার করিয়া লইয়াছেন। আর, যদি বৈরাগ্য জন্মে, ধর্ম্ম ও পুত্রের মধ্যে একের অসদ্ভাবের কথা দূরে থাকুক, উভয়ের অসদ্ভাব স্থলেও, আর বিবাহ না করিয়া মোক্ষপথ অবলম্বন করিবেক। স্ত্রীবিয়োগের ত কথাই নাই, স্ত্রী বিদ্যমান থাকিলেও, সে অবস্থায় মোক্ষপথ অবলম্বন করিবেক।

  “অতএব, পূর্ব্বাদ্ধ মাত্র ধরিয়। উত্তরোর্দ্ধের গোপন করিয়া, “যে স্ত্রীর সহযোগে ধর্ম্মকার্য্য ও পুত্রলাভ সম্পন্ন হয়, তৎসত্ত্বে অন্য স্ত্রী বিবাহ করিবেক না,” এইরূপে তাদৃশ স্ত্রীসত্ত্বে যে দারান্তর পরিগ্রহ নিষেধ কল্পনা তাহা অতীব যুক্তিবিরুদ্ধ; যদি তাঁহার মতে দারসত্ত্বে দারান্তর পরিগ্রহের প্রাপ্তি সম্ভাবনা থাকিত, তাহা হইলে তাহার নিষেধ হইতে পারিত’'।

 এ স্থলে বক্তব্য এই যে, আমি আপস্তম্বসুত্রের পূর্ব্বার্দ্ধমাত্র ধরিয়া, উত্তরার্দ্ধ গোপন করিয়া, কপোলকল্পিত অর্থ প্রচার দ্বারা লোককে প্রতারণা করি নাই। আপস্তম্বীয় ধর্ম্মসুত্রে দৃষ্টি নাই, এজন্য, তর্কবাচস্পতি মহাশয়, দুই সুত্রকে এক সূত্র জ্ঞান করিয়া, পূর্ব্বাৰ্দ্ধ ও উত্তরার্দ্ধ শব্দ ব্যবহার করিয়াছেন।

ধর্ম্মপ্রজাসম্পন্নে দারে নান্যাং কুর্ব্বীত ২।৫।১১৷১২।

ইহা দ্বিতীয় প্রশ্নের, পঞ্চম পটলের, একাদশ খণ্ডের দ্বাদশ সুত্র। আর,

অন্যতরাভাবে কার্য্যা প্রাগগ্ন্যাধেয়াৎ

ইহা দ্বিতীয় প্রশ্নের, পঞ্চম পটলের, একাদশ খণ্ডের ত্রয়োদশ সূত্র। দ্বাদশ সূত্রের অর্থ এই,