পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বহুবিবাহ।
১৫৩

  যে স্ত্রীর সহযোগে ধর্ম্মকার্য্য ও পুত্রলাভ সম্পন্ন হয়, তৎসত্ত্বে অন্য স্ত্রী বিবাহ করিবেক না।

ত্রয়োদশ সুত্রের অর্থ এই,

  ধর্ম্মকার্য্য অথবা পুত্রলাভ সম্পন্ন না হইলে, অগ্ন্যাধানের পূর্বে পুনরায বিবাহ করিবেক।

দ্বাদশ সুত্র অনুসারে, ধর্ম্মকার্য্য ও পুত্রলাভ সম্পন্ন হইলে, স্ত্রীসত্ত্বে দারান্তরপরিগ্রহ নিষিদ্ধ হইয়াছে; ত্রয়োদশ সূত্র অনুসারে, ধর্ম্মকার্য্যনির্বাহ ও পুত্রলাভ এ উভয়ের অথবা উভয়ের মধ্যে একের অভাব ঘটিলে, স্ত্রীসত্ত্বে দারান্তরপরিগ্রহ বিহিত হইয়াছে। এই দুই সূত্র পরস্পর বিরুদ্ধে অর্থের প্রতিপাদক নহে; বরং পরসূত্র পূর্ব সূত্রের পোষক হইতেছে। এমন স্থলে, উত্তরার্দ্ধ অর্থাৎ পরসূত্র গোপন করিবার কোনও অভিসন্ধি বা আবশ্যকতা লক্ষিত হইতে পারে না। পুত্রলাভ ও ধর্ম্মকার্যনির্ব্বাহ হইলে, স্ত্রীসত্ত্বে পুনরায় বিবাহ করিবার অধিকার নাই, এতন্মাত্র নির্দেশ করা আবশ্যক হইয়াছিল, এজন্য দ্বিতীয় ক্রোড়পত্রে পূর্ব সূত্রমাত্র উদ্ধত হইয়াছিল; নিম্প্রয়োজন বলিয়া পরসূত্র উদ্ধৃত হয় নাই। নতুবা, ভয়প্রযুক্ত, অথবা দুরভিসন্ধিপ্রণোদিত হইয়া, পর সূত্র গোপনপূর্বক পূর্ব্ব ছত্রমাত্র উদ্ধত করিয়া, স্বেচ্ছানুসারে অর্থান্তর কল্পনা করিয়াছি, এরূপ নির্দেশ করা নিরবচ্ছিন্ন অনভিজ্ঞতা প্রদর্শনমাত্র। আর, “এইরূপে তাদৃশ স্ত্রীসত্ত্বে যে দারান্তর পরিগ্রহ নিষেধ কল্পনা, তাহা অতীব যুক্তিবিরুদ্ধ।” এ স্থলে বক্তব্য এই যে, তাদৃশ স্ত্রীসত্ত্বে দারান্তর পরিগ্রহ নিষেধ আমার কপোলকল্পিত নহে। সর্ব্বপ্রথম মহর্ষি আপস্তম্ব ঐ নিষেধ কম্পনা করিয়াছেন; তৎপরে, মিত্রমিশ্র, অনন্তভট ও কুল্লুকভট, আপস্তম্বের ঐ নিষেধকম্পনা অবলম্বনপূর্বক ব্যবস্থা করিয়া গিয়াছেন। আমি নুতন কোনও কল্পনা করি নাই। আর, “যদি তাহার মতে দারসত্ত্বে দারান্তর পরিগ্রহের প্রাপ্তি সম্ভাবনা

২০