পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বহুবিবাহ।
১৫৫

হোত্রাদি গৃহস্থকর্ত্তব্য ধর্ম্মকার্য্য নির্বাহ না হইলেও, পুত্রসত্ত্বে দারান্তর পরিগ্রহ নিষিদ্ধ, অর্থাৎ পূর্বপরিণীতা স্ত্রী দ্বারা ধর্ম্মকার্য্য নির্বাহের ব্যাঘাত ঘটিলেও, কেবল পুত্রলাভ হইয়াছে বলিয়া, ধর্ম্মকার্য্যের অনুরোধে আর দারপরিগ্রহ করিতে পারিবেক না; আমি কোনও স্থলে এরূপ কথা লিখি নাই। তর্কবাচস্পতি মহাশয়, কি মূল অবলম্বন করিয়া, অনায়াসে এরূপ অসঙ্গত নির্দ্দেশ করিলেন, বুঝিতে পারা যায় না। এ বিষয়ে পূর্ব্বে যাহা লিখিয়াছি, তাহা উদ্ধৃত হইতেছে —

 “পুত্রলাভ ও ধর্ম্মকার্য্যসাধন গৃহস্থাশ্রমের উদ্দেশ্য, দার পরিগ্রহ ব্যতিরেকে এ উভয়ই সম্পন্ন হয় না; এই নিমিত্ত, প্রথম বিধিতে দারপরিগ্রহ গৃহস্থাশ্রমপ্রবেশের দ্বারস্বরূপ ও গৃহস্থা শ্রম সমাধানের অপরিহার্য্য উপায়স্বরূপ নির্দিষ্ট হইয়াছে। গৃহস্থাশ্রমসম্পাদন কালে, স্ত্রীবিয়োগ ঘটিলে যদি পুনরায় বিবাহ না করে, তবে সেই দারবিরহিত ব্যক্তি আশ্রমভ্রংশনিবন্ধন পাতক গ্রস্ত হয়; এজন্য, ঐ অবস্থায় গৃহস্থ ব্যক্তির পক্ষে পুন রায় দারপরিগ্রহের অবশ্যকর্ত্তব্যতাবোধনার্থে, শাস্ত্রকারেরা দ্বিতীয় বিধি প্রদান করিয়াছেন। স্ত্রীর বন্ধ্যাত্ব, চিররোসিত্ব প্রভৃতি দোষ ঘটিলে, পুত্রলাভ ও ধর্ম্ম কার্য্যসাধনের ব্যাঘাত ঘটে; এজন্য, শাস্ত্রকারেরা তাদৃশস্থলে স্ত্রীসত্ত্বে পুনরায় বিবাহ করিবার তৃতীয় বিধি দিয়াছেন’'(৩৫)।

এই লিখন দ্বারা, ধর্ম্মকার্য্যনির্বাহের ব্যাঘাত ঘটিলেও, পুত্রসত্ত্বে দারান্তর পরিগ্রহ করিতে পরিবেক না, এরূপ নিষেধ প্রতিপন্ন হয় কি না, তাহা সকলে বিবেচনা করিয়া দেখিবেন।

 “অতএব “অদারে,” এইরূপ ছেদ দ্বারাই সর্ব্বসামঞ্জস্য হইতেছে; এমন স্থলে “দারীক্ষতলাজানাং বহুত্বঞ্চ' পুংলিঙ্গাধিকারে পাণিনিরুত এই লিঙ্গানুশাসন লঙ্ঘন করিয়া, দারশব্দের এক


(৩৫) বহুবিবাহবিচার, প্রথম পুস্তক, ৭ পৃষ্ঠা |