পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বহুবিবাহ।
১৬৩

তাঁহারা কখনও অশাস্ত্রীয় কর্ম্মে প্রবৃত্ত হইতে পারেন না। সুতরাং, তাঁহাদের আচার অবশ্যই সদাচার। যখন শাস্ত্রকর্ত্তা কশ্যপ প্রভৃতির বহুবিবাহের নিদর্শন পাওয়া যাইতেছে, তখন বহুভার্য্যা- বিবাহ সম্পূর্ণ শাস্ত্রসম্মত; শাস্ত্রবিরুদ্ধ হইলে, তাঁহারা তাহাতে প্রবৃত্ত হইতেন না। এ বিষয়ে বক্তব্য এই যে, তর্কবচম্পতি মহাশয়ের এই মীমাংসা কোনও অংশে ন্যায়ানুসারিণী নহে। ইতি- পূর্ব্বে দর্শিত হইয়াছে, আপস্তম্ব বৌধায়ন প্রভৃতি ধর্ম্মশাস্ত্র প্রবর্ত্তক ঋষিরা স্পষ্ট বাক্যে কহিয়াছেন, দেবগণ, ঋষিগণ বা অন্যান্য মহৎ ব্যক্তিগণ, সকল সময়ে ও সকল বিষয়ে, শাস্ত্রীয় বিধি নিষেধ প্রতিপালন করিয়া চলিতেন না। সুতরাং, তাঁহাদের আচার মাত্রই সদাচার বলিয়া পরিগৃহীত ও অনুসৃত হওয়া উচিত নহে; তাঁহাদের যে সকল আচার শাস্ত্রানুমোদিত, তাহাই সদাচার বলিয়া পরিগৃহীত হওয়া উচিত। অতএব, যখন বহুভার্য্যাবিবাহ শাস্ত্রানুমোদিত ব্যবহার বলিয়া প্রতিপন্ন হইতেছে না, তখন দেবগণ, ঋষিগণ প্রভৃতির বহুবিবাহব্যবহারদর্শনে, তাদৃশ ব্যবহারক শাস্ত্রসম্মত বলিয়া মীমাংসা করা কোনও অংশে সঙ্গত হইতে পারে না। এজন্যই মাধবাচার্য্য কহিয়াছেন,

 "নমু শিষ্টাচারপ্রামান্যে, স্বদুুহিিতৃবিৰাহোপি প্রসক্তোত  প্রজাপতেরাচরণাৎ তথাাচ শ্রুতিঃ প্রজ্ঞাপতির্বৈবস্যাং দুহিতরমভা-  ধ্যায়দিতি মৈৰং ন দেবচরিিতং চরেদিতি ন্যাায়াৎ অতএব বৌধায়নঃ  অঅনুুবৃত্তন্তু যদ্দেবৈম্মৃৃনিভিয্দনুষ্ঠিতম্। নানুষ্ঠেয়ং মনুষ্যৈস্তদুক্তং  কর্ম্ম সমাচরেদিতি” (৪১)।[১]

 শিষ্টাচারের প্রামাণ্য স্বীকার করিলে, নিজকন্যাবিবাহও  দোষাবহ হইতে পারেনা; কারণ, ব্রহ্ম তাহা করিয়াছিলেন।  বেদে নির্দ্দিষ্ট আছে,

  1. (৪১) পরাশরভাষ্যে, দ্বিতীয় অধ্যায়